
COPD: আধুনিক জীবনের দূষণ, ধূমপান, ধূলাবালি এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে ফুসফুসের রোগ কেবল বয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অল্প বয়সীদের মধ্যেও বেড়েই চলেছে সিওপিডি (COPD), অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, এমনকি ফুসফুসের ক্যানসার-এর মতো মারাত্মক সমস্যা। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে কিছু প্রাকৃতিক খাবার যোগ করলেই ফুসফুসকে আরও স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব। এই প্রতিবেদনে এমনই কিছু সহজলোভ্য খাবারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো, যা ফুসফুসকে ডিটক্স করে, শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ফুসফুস ভালো রাখবে যে খাবারগুলি -
১। আদা
আদার মধ্যে উপস্থিত প্রদাহ-বিরোধী উপাদান ফুসফুসের প্রদাহ কমায়। এটি শ্লেষ্মা বের করে দিতে সাহায্য করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে কাঁচা আদা খান। মধুর সঙ্গে খেলে এর প্রভাব বাড়বে।
২। লেবু
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। চাইলে এতে খানিকটা মধুও যোগ করতে পারেন।
৩। তুলসী
আয়ুর্বেদে তুলসীকে ফুসফুসের জন্য অমৃত বলা হয়েছে। এতে উপস্থিত ইউজেনল উপাদান সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখে। তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও তুলসীর চা বানিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। এছাড়াও মধুর সঙ্গে তুলসীর রস মিশিয়ে খান।
৪। হলুদ
হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন ফুসফুসকে খুব ভালভাবে পরিষ্কার করে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া হালকা গরম জলে হলুদ এবং লেবু মিশিয়ে একটি ডিটক্স পানীয় তৈরি করে খান।
৫। রসুন
রসুন শ্লেষ্মা ভেঙে দেয়, ফুসফুস পরিষ্কার করে এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। এতে থাকা অ্যালিসিন প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। খালি পেটে এক বা দুটি কোয়া কাঁচা রসুন খান। এটি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।