ফ্রিজে কিছু জিনিস রাখা একেবারেই উচিত নয়। ভুল করে কিছু জিনিস ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করলে তা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এর ফলে নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মশলা অনেকদিন ভালো থাকে বলে আপনি ভাবতে পারেন, কিন্তু এগুলোরও মেয়াদ আছে। বিশেষ করে, একবার খোলা কেচাপ, মেয়োনিজ, সরিষা, সয়া সস ইত্যাদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভালো থাকে। মেয়াদোত্তীর্ণ মশলার স্বাদ থাকে না এবং কখনও কখনও ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির কারণ হয়। গন্ধ পরীক্ষা করে কোনও পরিবর্তন দেখলে ফেলে দিন।
29
বাসি খাবার :
রান্না করা খাবার ফ্রিজে সাধারণত ৩-৪ দিন ভালো থাকে। এরপর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে এবং খাবার বিষাক্ত হতে পারে। সন্দেহ হলে ফেলে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। "তিন দিনের বেশি পুরনো রান্না করা খাবার, তা আবর্জনা" - এই নিয়ম মনে রাখবেন। বাসি খাবার রাখার সময়, বায়ুরোধী পাত্রে রাখলে তা কিছুটা বেশি দিন ভালো থাকবে।
39
পচা ফল ও সবজি :
পচা, নষ্ট বা ছত্রাকযুক্ত ফল ও সবজি ফ্রিজের অন্যান্য খাবারে ছত্রাক ছড়াতে পারে। একটি ফল পচলে তা অন্য ফলও নষ্ট করে। নরম, রঙ পরিবর্তিত, বা দুর্গন্ধযুক্ত যেকোনো জিনিস অবিলম্বে সরিয়ে ফেলুন। কিছু ফল ও সবজি (যেমন, পেঁয়াজ, আলু) ফ্রিজে রাখার পরিবর্তে ঠান্ডা, অন্ধকার জায়গায় রাখাই ভালো।
দুধ, দই, ছানা, মাখন ইত্যাদি দুগ্ধজাত দ্রব্য সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। মেয়াদোত্তীর্ণ দুগ্ধজাত দ্রব্য খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। দুধ নষ্ট হলে তা জমাট বেঁধে দুর্গন্ধ ছড়ায়। দই নষ্ট হলে তার উপর হলুদ আবরণ পড়ে। নিয়মিত মেয়াদ দেখে মেয়াদোত্তীর্ণ হলেই ফেলে দিন।
59
বর্ণহীন মাংস ও সামুদ্রিক খাবার :
কাঁচা মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের রঙ পরিবর্তন হলে (যেমন, লাল মাংস বাদামি হওয়া, মাছ ফ্যাকাশে হওয়া), অথবা টক গন্ধ হলে, তা নষ্ট হয়ে গেছে বুঝতে হবে। এগুলো অবিলম্বে ফেলে দিন। রান্না না করা মাংস ফ্রিজে ১-২ দিন ভালো থাকে। অনেকদিন রাখতে চাইলে ডিপ ফ্রিজে রাখুন।
69
খোলা আচার ও জ্যাম :
একবার খোলা আচার এবং জ্যাম অনেকদিন ভালো থাকে বলে মনে হলেও, সময়ের সাথে সাথে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে, ছত্রাক পড়লে বা রঙ পরিবর্তন হলে, তা অবিলম্বে ফেলে দিতে হবে। কিছু মিষ্টি জ্যামে চিনির পরিমাণ বেশি থাকায় অনেকদিন ভালো থাকলেও, স্বাদ এবং গুণমান কমতে পারে।
79
মেয়াদোত্তীর্ণ ডিম :
ডিমেরও মেয়াদ আছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ডিম খেলে সালমোনেলা জাতীয় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। ডিম একটি গ্লাস জলে ডুবিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। ডুবে গেলে তাজা, ভেসে উঠলে নষ্ট। তবে, মেয়াদ দেখেই ফেলে দেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ।
89
অব্যবহৃত বা নষ্ট ওষুধ :
কিছু ওষুধ ফ্রিজে রাখতে হয়। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কার্যকারিতা হারায় এবং কখনও কখনও ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। অব্যবহৃত বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সঠিকভাবে ফেলে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। টয়লেটে বা আবর্জনায় ফেলবেন না, কারণ এগুলো পরিবেশ দূষণ করতে পারে। স্থানীয় ওষুধ ফেলার কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করুন।
99
টক বা দুর্গন্ধযুক্ত বাসি চাটনি :
বাড়িতে তৈরি চাটনি এবং সস ফ্রিজে কয়েকদিন ভালো থাকে। টক গন্ধ, ছত্রাক বা রঙ পরিবর্তন হলে, তা অবিলম্বে ফেলে দিন। দোকানের সস অনেকদিন ভালো থাকলেও, খোলার পর মেয়াদ কমে যায়।