মাশরুমে ক্যালরি কম থাকে এবং প্রোটিন বেশি থাকে, যা পেট ভরা রাখে এবং খিদে কমায়। এতে ফাইবার, ভিটামিন বি, ডি, পটাশিয়াম এবং সেলেনিয়াম আছে যা ওজন কমাতে, হজমশক্তি বাড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সমৃদ্ধ মাশরুম মস্তিস্ককে পেট ভর্তি বলে ঠকায়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকেন আপনি।
210
নিরামিষ খান বলে প্রোটিন বা খনিজের উৎস খুঁজে পাচ্ছেন না? শাক, সবজি, ডাল, পনির, বাদাম, ফলের পাশাপাশি তালিকায় যোগ করুন মাশরুম।
310
ব্যাঙের ছাতার মতো দেখতে বলে ব্যঙ্গ করলেও মাশরুমকে খাসির মাংসের বিকল্প হিসেবে গণ্য করা যায় পুষ্টির দিক দিয়ে।
410
ওজন কমাতে কতটা সহকারী মাশরুম?
510
১। ওজন কমাতে হলে আগেই দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ কমাতে হয়। ১০০ গ্রাম মাশরুমে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ২২, এবং প্রোটিন প্রায় ১০ গ্রাম। ফলে পেট ভর্তি থাকে অনেকক্ষণ। চোখের খিদে কম পায়।
610
২। জানেন কি? ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হয়। যাতে গাট হেল্থ ভালো থাকে। হজম ঠুক করে হয়, শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণে থাকে তো স্থূলতা ও স্থূলতার কারণে হওয়া রোগ ব্যাধিও কমে।
710
৩। মাশরুমে ভিটামিন বি, ডি ও পটাশয়ম ও সেলেনিয়ম। রয়েছে রয়েছে। জা ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে। ভিটামিন ডি শরীরে মেদ-কোষ তৈরি হতে দেয় না। ভিটামিন ডি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।
810
৪। মাশরুম ভালো প্রিবায়োটিক খাবারের উৎস্য, যা হজমের শক্তি ভাল রাখে। ফলে খাবার থেকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম শোষণ হয় তাড়াতাড়ি। রোগপ্রতিরোধ শক্তিও বৃদ্ধি হয় যে কারণে।
910
৫। মাশরুম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীরে বাজে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হতে দেয় না।
1010
তবে বিশেষ সতর্কতা দিয়ে রাখা ভালো, মাশরুম কাঁচা বা না ধুঁয়ে খাওয়ার প্রচেষ্টা করবেন না। বাজার থেকে আনার পর ভালো করে ধুঁয়ে মাশরুমের নিচের দিকে কালো অংশটি পরিষ্কার করে নেবেন। তারপর কেটে ধুঁয়ে নিয়ে রান্নায় ববহার করবেন। খাবার পর আল্যার্জি বা হাতে পায়ে ৱ্যাশ উঠলে খাবেন না মাশরুম। অনেকসময় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এলার্জির সাথে, সত্ত্বর পরামর্শ নিন ডাক্তারের সঙ্গে।