বৈশাখের গরমে তরমুজ শুধু তৃষ্ণা মেটায় না, শরীরকে সতেজ ও হাইড্রেটেড রাখে। ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফলটি হৃদরোগ, ত্বক রক্ষা ও হজমের সমস্যা সমাধানেও সহায়ক।
তবে অতিরিক্ত খাবেন না, ব্রেকফাস্টে বা দুপুরের খাবারের পর খেতে পারেন একফালি তরমুজ।
510
কী কী কারণে খাবেন তরমুজ?
610
১। প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ :
এই গরণে শুধু জল নয়, দরকার রসালো ফলও। তরমুজ প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। ভিটামিন এ এবং সি, পটাসিয়াম থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ফল।
710
২। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে :
তরমুজে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা শরীরে আর্জিনাইনে রূপান্তরিত হয়। এটি রক্ত প্রবাহ উন্নত করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রোজ তরমুজ খাওয়ার ফলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো হয়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। প্রচণ্ড গরমে হৃদরোগীদের যেকোনো সময়ে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা বেশি। নিয়মিত তরমুজ খেলে এই ঝুঁকি কমে অনেকাংশে।
810
৩। ত্বক ভালো রাখে :
তরমুজে ভিটামিন এ এবং সি থাকে যা ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও সতেজ রাখে। ভিটামিন এ ত্বকের কোষ মেরামতিতে সহায়তা করে। সূর্য রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং কোলাজেন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। ত্বকের বলিরেখা হ্রাস করে তরমুজ। এই গরমে শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধ করে তরমুজ।
910
৪। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি :
তরমুজে থাকা ভিটামিন সি যা সংক্রমণজনক অসুস্থতা প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্রীষ্মকালে তরমুজের মতো ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে এগুলো শুরুরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে এবং সাধারণ অসুস্থতা দূরে রাখে।
1010
৫। হজমের সমস্যা নূরমুল :
প্রচণ্ড গরমে শরীরে জলের অভাবে হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তরমুজ নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা সহজ হয়। পাশাপাশি হজমের অস্বস্তি দূর করতেও সাহায্য করা সম্ভব।