Health News: শিশুর জন্মের ওজনই বলে দেয় বড় হলে তার হৃদরোগের ঝুঁকি কতটা? বলছে নতুন গবেষণা
জন্মের সময় শিশুর ওজন বলে দেয় প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় তার হৃদয়ের স্বাস্থ্য কেমন থাকবে। এই বিষয়ে মূল ভূমিকা গ্রহণ করে মা ও তার সন্তানের মধ্যে ভাগ করা ঝুঁকির জিন। তেমনই বলছে গবেষণা।
Saborni Mitra | Published : Feb 16, 2024 2:00 PM IST / Updated: Feb 16 2024, 07:31 PM IST
হৃদরোগের ঝুঁকি
ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছে। সেই গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে বায়োলজি জার্নালে। সেখানেই বলা হয়েছে শিশুর ওজনের ওপর নির্ভর করে প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় তার হৃদরোগের ঝুঁকি কতটা রয়েছে।
আগের গবেষণা রিপোর্ট
আগের গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছিল যেসব শিশুদের জন্মের সময় কম ওজন থাকে তারা পরবর্তীকালে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে।
নতুন গবষণায় অনুমান
গর্ভাবস্থায় অপর্যাপ্ত মাতৃ পুষ্টি ভ্রূণের বিপাককে প্রভাবিত করতে পারে, সম্ভাব্যভাবে সন্তানদের প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হতে পারে, বিশেষ করে অতিরিক্ত পুষ্টির পর্যায়গুলিতে।
সমীক্ষা রিপোর্ট
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ভ্রূণের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে মায়েদের জিনগত কারণগুলি শিশুর পরবর্তী হৃদরোগের প্রতি সংবেদনশীলতার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞদের বার্তা
মা থেকে সন্তানের মধ্যে এই ঝুঁকিপূর্ণ জিনের আন্তঃপ্রজন্মীয় সংক্রমণকে হাইলাইট করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিছু মাতৃত্বের জিন গর্ভে সন্তানের বৃদ্ধির অবস্থাকে প্রভাবিত করে এবং ফলস্বরূপ সন্তানের জন্মের ওজনকে প্রভাবিত করে।
গবেষকের বার্তা
ইনস্টিটিউট ফর মলিকুলার মেডিসিন ফিনল্যান্ডের (এফআইএমএম) পোস্টডক্টরাল গবেষক লিড গবেষক জাক্কো লেইনোনেন বলেন, মায়ের কারণে জন্মের আগে শিশুর বৃদ্ধিতে ছোট পরিবর্তনগুলি শিশুর এই রোগের বিকাশের ঝুঁকিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে না। তবে প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় পারে।
শিশুর জিন
বিশেষজ্ঞদের কথায় একটি শিশুর নিজের জিন তার ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নির্ধারণে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সমীক্ষা করা হয়
গবেষক দলটি ৩৬০০০টিরও বেশি শিশু ও মায়ের ওপর একটি সমীক্ষা করেছিল। সেখানেই এই রিপোর্ট ধরা পড়েছে।
গবেষণার লক্ষ্য
গবেষণাটি জন্মের ওজন এবং প্রাপ্তবয়স্কদের রোগের ঝুঁকির মধ্যে সংক্ষিপ্ত সম্পর্কের বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। তারই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আগামী প্রজন্মের স্বাস্থ্য যাতে ভাল থাকে তারই চেষ্টা করা।