Women in Sex: যৌন সংসর্গের পরেই কি নিজের শরীরে এই পরিবর্তনগুলি লক্ষ্য করেন? তাহলে সাবধান!
যৌন উদ্দীপনার কারণে ফুলে যেতে পারে স্তনবৃন্ত, এছাড়াও সহবাসের পর শরীরে অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটতে পারে। এগুলো 'আফটার সেক্স এফেক্ট' নামে পরিচিত। সেক্সের পরে শরীরে যে পরিবর্তনগুলি অনুভূত হয়, সেগুলি সম্পর্কে জেনে রাখুন।
যৌনতা যতই জীবনের অতি চাহিদাপূর্ণ এবং সুখকর ধাপ হোক , শারীরিক মিলনের পর শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
বেদনাদায়ক যৌনতা একটি বাস্তব জিনিস। হাইমেন প্রসারিত হওয়ার কারণে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। আবার যোনি শুকিয়ে যাওয়ার কারণেও ব্যথা হতে পারে। কারণ, পেলভিক পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায়, যা যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করলে ব্যথার সৃষ্টি করে।
যৌনতার পরে আপনার রক্তপাত হতে পারে। তবে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। প্রথমবার সেক্সের পর রক্তপাত হতে পারে, হাইমেন ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে। হাইমেন হল একটি পাতলা চামড়ার স্তর যা যোনির প্রবেশপথকে আবৃত করে।
প্রথমবার সহবাসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি হল জ্বালা করা। সেক্সের পর প্রস্রাব করার সময় আপনি জ্বালা অনুভব করতে পারেন, এবং এটি খুবই স্বাভাবিক শারীরিক প্রতিক্রিয়া। মূত্রনালী এবং যোনি ঘনিষ্ঠভাবে থাকে। যোনি প্রসারিত হলে অস্থায়ী জ্বলন হতে পারে। তবে, সেই জ্বলন টানা ৭ দিন ধরে টিকে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সব ধরনের কনডোম আপনার যোনিপথের জন্য আরামদায়ক না-ও হতে পারে। কোনও কোনও কনডোমে এমন ফ্লেভার বা ডিজাইন দেওয়া থাকতে পারে, যা আপনার যোনিতে জ্বালার অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।
সহবাসের পর একটি স্বাভাবিক ঘটনা হল মূত্রনালীর সংক্রমণ। অন্ত্র থেকে যোনি গহ্বর ও মূত্রনালী পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়া স্থানান্তর ঘটতে পারে। এটি ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে, যা চুলকানি এবং জ্বলনও সৃষ্টি করতে পারে।
যৌন উদ্দীপনার কারণে ফুলে যেতে পারে স্তনবৃন্ত। স্তনবৃন্ত স্নায়ু দিয়ে ভরা থাকে, আপনি যখন উত্তেজিত হন তখন সেগুলি ফুলে যায়, কারণ এগুলি রক্তনালীগুলিকে প্রসারিত করে। এর ফলে স্তনেরও উত্থান ঘটতে পারে।
সহবাসের পর শরীরে সুখী হরমোনের প্রভাব বাড়ে। এর দরুন স্তনবৃন্ত এবং স্তনের চারপাশ ফুলে উঠতে পারে, যোনির বাইরের অংশও শক্ত হয়ে উঠতে পারে। পেশিতে টান পড়ার কারণে এমন পরিবর্তন ঘটে , যেগুলি খুবই স্বাভাবিক।
তবে, মনে রাখবেন, যৌনতার পরবর্তী যে কোনও পরিবর্তন আগামি ৪-৫ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তারপরেও শারীরিক কষ্ট অনুভূত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।