Chocolate day: চকোলেটের আবিষ্কার থেকে মহাকাশ যাত্রা- চকোলেট সম্পর্কে রইল কয়টি মজার অজানা তথ্য
সর্বত্র পালিত হচ্ছে চকোলেট দিবস। আজ এই বিশেষ দিনে মনের মানুষকে চকোলেট দিয়ে ভালোবাসার প্রকাশ করে থাকেন অনেকেই। আজ রইল চকোলেট সম্পর্কে রইল কয়টি মজার অজানা তথ্য। দেখে নিন এক ঝলকে।
হাজার হাজার বছর আগে আবিস্কার হয়েছিল চকোলেট। মধ্য আমেরিকার প্রাচীন মায়ান এবং অ্যাজটেকরা প্রথম কোকো গাছের চাষ করেছিলেন। তাঁরা প্রথম তিক্ত, ফেনাযুক্ত পানীয় সেবন করেন।
চকোলেট এসেছে কোকো গাছ থেকে। যা বৈজ্ঞানিক ভাবে থিওব্রোমা ক্যাকো নামে পরিচিত। এর অর্থ দেবতাদের খাদ্য। চকোলেট শব্দটি এসেছে অ্যাজটেক ভাষা নাহুয়াটলের Xocolati শব্দ থেকে। যখন স্প্যানিশ ব্যক্তিরা এর সঙ্গে পরিচিত হন, তখন তারা চকোলেট শব্দটি ব্যবহার করেন।
একাধিক স্বাস্থ্যগুণ আছে চকোলেটের। এতে ফ্ল্যাভোনেয়ড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। যা রক্তচাপ কমায়। সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
এক সময় মুদ্রা হিসেবে চকোলেট ব্যবহার হত। অ্যাজটেকের মতো প্রাচীন সভ্যতায় এমন প্রচলন ছিল। চকোলেট গিয়ে খাবার ও পোশাক কেনা হত।
১৬ শতকের দিকে ইউরোপ যাত্রা করে চকোলেট। এটি সে সময় পানীয় হিসেবে খাওয়া হত। পরে দারুচিনি ও ভ্যানিলার মতো মশলা যোগ করা হয় এতে।
আধুনিক চকোলেট বার যা বর্তমানে খাওয়া হয়, তা ১৯ শতকে ইংল্যান্ডের জোসেফ ফ্রাই আবিস্তার করেন। তিনি কোকো পাউডার, কোকো মাখন ও চিনি মিশিয়ে সলিড চকোলেট বার তৈরি করেছিলেন।
মহাকাশ যাত্রা করেছে চকোলেট। এটি শূন্য মাধ্যাকর্ষণেও গলে না। সে কারণে মহাকাশ্চারীরা মহাকাশ যাত্রার সময় এটি বেছে নিয়েছিল।
মানসিক শান্তি পেতে চকোলেটের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। এতে আছে বিশেষ উপাদান। যা মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন এবং সেরাটোনিন নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। এর কারণে মানসিক সুস্থতা ও শিথিলতা অনুভূত হয়।