যে কোনো মানুষের এই ধরনের সমস্যা মস্তিষ্কের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত এবং কোনো আঘাত বা রোগের কারণে শরীরের কিছু কোষ কাজ করা বন্ধ করে দিলে রোগীর মধ্যে এসব সমস্যা শুরু হয়।
বেশিরভাগ মানুষ হাত কাঁপাকে একটি গুরুতর সমস্যা হিসাবে বিবেচনা করে না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কখনও কখনও ভয়ের কারণে এটি ঘটে, আবার কখনও কখনও মানসিক কারণ এর জন্য দায়ী হতে পারে। তবে, হাত কাঁপা কিছু রোগের কারণেও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ভুল করেও অবহেলা করা উচিত নয়। আজ জেনে নিন হাত কাঁপার কারণ কী হতে পারে এবং তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা কী।
কেন এই সমস্যা দেখা দেয়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো মানুষের এই ধরনের সমস্যা মস্তিষ্কের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত এবং কোনো আঘাত বা রোগের কারণে শরীরের কিছু কোষ কাজ করা বন্ধ করে দিলে রোগীর মধ্যে এসব সমস্যা শুরু হয়। এমতাবস্থায় সময়মতো এই সমস্যার যত্ন না নিলে পরবর্তীতে তা পারকিনসন্স রোগে পরিণত হতে পারে।
পারকিনসন কি
পারকিনসন এমন এক রোগ যেখানে মস্তিষ্কের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে এবং স্নায়ু দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে যেতে থাকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগটি শরীরের সেই সমস্ত অংশকে প্রভাবিত করে যা স্নায়ুতন্ত্র বা স্নায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বয়সের সাথে পারকিনসন রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
হাত কাঁপানোর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
ধ্যান
এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জনয মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এই ধরণের ধ্যানে শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়। প্রতিদিন এটি অনুশীলন করা মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা কমাতে উপকারী এবং এর কারণে হাত কাঁপা বন্ধ হয়ে যায়।
ভিটামিন বি ১২
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হাত কাঁপার সমস্যা এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভিটামিন বি ১২ ব্যবহার শুরু করা উচিত। আসলে, এটি শরীরে অসাড়তা, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে।
ব্যায়াম
এছাড়া কম বয়সে পারকিনসন্স রোগ দেখা দিলে ডিপ ব্রেন স্টিমুলেশন সার্জারির মাধ্যমে নিরাময় করা যায়। এছাড়া প্রতিদিন ব্যায়াম করলে পারকিনসন্সের ঝুঁকিও কমে। আমরা আপনাকে বলি যে পারকিনসন্স সমস্যা নির্ণয়ের জন্য আপনি চিকিত্সক, নিউরোলজিস্ট, মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে, তারা আপনাকে আপনার অবস্থা অনুসারে আপনার রোগ সম্পর্কিত পরামর্শ এবং ওষুধ দেবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।