
মশলাদার খাবার খেতে কে না ভালোবাসে। কিন্তু आजकल বেশিরভাগ মানুষই ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তে শর্করার সমস্যায় ভুগছেন। তাই এই ধরনের মানুষের যখন মশলাদার এবং সুস্বাদু কিছু খেতে ইচ্ছে করে, তখন তাদের সাবধানে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। দেশি ফাস্ট ফুড খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। কিছু দেশি ফাস্ট ফুড আছে, যা খাওয়ার সাথে সাথেই হঠাৎ করে ব্লাড সুগার বেড়ে যায়।
এর সবচেয়ে বড় কারণ হল এতে থাকা পরিশোধিত স্টার্চ, কম ফাইবার এবং সহজ হজম প্রক্রিয়া, যার ফলে গ্লুকোজ দ্রুত রক্তে পৌঁছে যায় এবং ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই ৫টি দেশি ফাস্ট ফুড সম্পর্কে, যা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায় এবং যা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।
পাও ভাজি
পাও ভাজি বেশিরভাগ মানুষেরই পছন্দের। কিন্তু এটি বেশি পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ পাও পুরোপুরি পরিশোধিত সাদা রুটি দিয়ে তৈরি, যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) অনেক বেশি। অন্যদিকে, ভাজিতে প্রায়শই আলু মেশানো হয়, যা এটিকে কার্ব + কার্ব-এর একটি কম্বো বানিয়ে দেয়। এই কারণেই পাও ভাজি খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা খুব দ্রুত বেড়ে যায়।
ফুচকা
ফুচকার নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। মন না চাইলেও মানুষ সহজেই ৪টি ফুচকা খেয়ে ফেলে। তবে এটিও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ফুচকার পুরি সুজি বা ময়দা দিয়ে তৈরি এবং ডুবো তেলে ভাজা হয়। এর পুরে প্রায়শই আলু এবং মিষ্টি-টক জল থাকে, যার ফলে এটি দ্রুত হজম হয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
সিঙাড়া
যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তে শর্করার সমস্যা আছে, তাদের সিঙাড়া একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। সিঙাড়ায় ময়দার परत এবং আলুর পুর থাকে। অর্থাৎ, দুটি মিলেই উচ্চ পরিশোধিত স্টARCH। ভাজার পর এর ঘনত্ব আরও বেড়ে যায়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা உடனடியாக বাড়িয়ে দেয়। মাত্র একটি সিঙাড়াও গ্লাইসেমিক লোড অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে।
বড়া পাও
পাও হল সাদা রুটি এবং বড়া হল আলুর ডুবো তেলে ভাজা একটি খাবার। দুটিই দ্রুত হজমযোগ্য কার্বোহাইড্রেট এবং এতে ফাইবার বা প্রোটিন প্রায় থাকেই না, যার ফলে সুগার দ্রুত বাড়ে। তাই বড়া পাও খুব কম পরিমাণে এবং মাঝে মাঝে খাওয়া উচিত।
দোসা (আলু মশলা সহ)
চাল দিয়ে তৈরি গাঁজানো ব্যাটার থেকে বানানো ইডলি এবং দোসা সহজেই হজম হয়ে যায়। যদি এর সাথে আলু মশলা থাকে বা পরিমাণ বেশি হয়, তবে এর গ্লাইসেমিক লোড আরও বেড়ে যায়, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।