
Health News: ডায়াবেটিস আজ কালকার দিনে অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। প্রত্যেকটি পরিবারে দেখতে গেলে গড়ে একজন কি দুজন ডায়াবেটিক রোগী আছেনই বলা চলে। আজকাল ডায়াবেটিস শিশুর জন্মানোর কয়েক মাস পর থেকেই হতে পারে অর্থাৎ ছোট বড় যে কোন মানুষের শরীরে ডায়াবেটিস দানা বাঁধতে পারে।
অতি সহজে মোটা মানুষের শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধী হয়ে ওঠে, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। পেটের চারপাশে চর্বি জমলে বিশেষ করে যকৃত এবং পেশী কোষে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায়, যা ডায়াবেটিসের মূল কারণ। অতিরিক্ত ওজন এবং নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
মোটা মানুষের ডায়াবেটিসের কারণ হলো ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা।
অতিরিক্ত ওজন, বিশেষ করে পেটের আশেপাশে চর্বি জমলে, শরীরের কোষগুলো ইনসুলিন হরমোনের প্রতি কম সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ইনসুলিন রক্তে শর্করা কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। যখন কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি প্রতিরোধী হয়, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং এটি টাইপ 2 ডায়াবেটিসের দিকে নিয়ে যায়।
ডায়াবেটিস মানুষের শরীরে অগ্ন্যাশয়ের ওপর চাপ ফেলে। স্থূলতার কারণে অগ্ন্যাশয়কে বেশি ইনসুলিন তৈরি করতে হয়। সময়ের সাথে সাথে অগ্ন্যাশয় অতিরিক্ত ইনসুলিন তৈরি করতে ব্যর্থ হতে পারে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কারণ হয়।
ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে পেটের ভেতরের দিকে জমা হওয়া চর্বি বেশি ক্ষতিকর। এই চর্বি যকৃত এবং পেশী কোষে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ডায়াবেটিসের আরেকটি মূল কারণ হলো জীবন-যাপনের ধারণ। অর্থাৎ নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন। যারা কম শারীরিক পরিশ্রম করেন এবং অতিরিক্ত ওজন বহন করেন, তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
কীভাবে এই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করবেন, রইলো তার উপায় :
সুষম খাদ্যাভ্যাস খুব জরুরী। যেমন ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন,প্রোটিন এবং গোটা শস্যযুক্ত খাবার খান।
নিয়মিত ব্যায়াম শারীরিক কার্যকলাপে সক্রিয় থাকা ডায়াবেটিস প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
নিজের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ রাখা খুব জরুরি। সুস্থ ওজন বজায় রাখা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর অন্যতম প্রধান উপায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।