Penile Cancer: এই কয়টি লক্ষণ উপেক্ষা করবেন না, বাড়ছে পেনাইল ক্যান্সার, জেনে নিন বিস্তারিত

Published : Aug 14, 2025, 03:40 PM IST
cancer

সংক্ষিপ্ত

ভারতে তুলনামূলকভাবে কম শোনা যায় পেনাইল ক্যানসার সম্বন্ধে৷ বলা যায়, ক্যানসারের মধ্যে এটি অনেকাংশেই বিরল৷ রোগ নির্ণয়ে দেরি হলে জীবননাশের আশঙ্কাও থাকে। 

ক্যান্সার শুনলেই আতঙ্ক ছড়ায় মনে। যে কারোর শরীরে যে কোনো অঙ্গে কোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনে ছড়িয়ে পড়তে পারে ক্যান্সার। এখন ভারতে প্রায় সব ধরণের ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা থাকলেও পুরুষদের গোপনাঙ্গে ক্যান্সার - পেনাইল ক্যান্সার (Penile cancer) নিয়ে সচেতনতা কমই, অথচ মারাত্মক এই ক্যান্সার। ফলে রোগ নির্ণয়ে দেরি হলে জীবননাশের আশঙ্কাও থাকে।

পেনাইল ক্যান্সার কী?

মূত্র ত্যাগ এবং যৌন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ পুরুষদের যৌনাঙ্গে ক্যান্সার হলে সেটিকে বলা হয় পেনাইল ক্যান্সার। যৌনাঙ্গের যেকোনো অংশেই হতে পারে ক্যান্সার, তবে লিঙ্গের মাথা বা চামড়া ঠেজে শুরু হয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সঠিক সময়ে লক্ষণ চিনে চিকিৎসা শুরু করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পেনাইল ক্যান্সার প্রতিকারযোগ্য।

পেনাইল ক্যান্সারের প্রকারভেদ

১। স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা (SCC)

এই ধরনের ক্যান্সার পুরুষদের যৌনাঙ্গের ত্বকের স্তরের উপরের অংশে হয়ে থাকে। এটিই ৯৫% পেনাইল ক্যান্সারের কারণ।

২। মেলানোমা

যে কোষগুলি ত্বকের গাঢ় এবং হালকা রং নিয়ন্ত্রণ করে, সেই কোষে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়তে পারে।

৩। বেসাল সেল কার্সিনোমা (BCC)

বেসাল সেল কার্সিনোমা আপনার এপিথেলিয়ামের নিচের স্তর থেকে শুরু হয়। ধীর গতিতে ছড়ায়, তবে ক্রমবর্ধনশীল এই ক্যান্সার।

৪। এডেনোকার্সিনোমা

এডেনোকার্সিনোমা ঘাম, শ্লেষ্মা বা শরীরের অন্যান্য তরল তৈরি করা গ্রন্থিগুলির কোষে হতে পারে।

৫। ইউরোথেলিয়াল কার্সিনোমা

মূত্রাশয়, কিডনি এবং আপনার মূত্রতন্ত্রের অন্যান্য অংশগুলিকে একই রেখা দ্বারা যুক্ত করে যে টিস্যু, সেখানেও ক্যান্সার হয়। সেটাই ইউরোথেলিয়াল কার্সিনোমা।

৬। সারকোমা

পেনাইল ক্যান্সারে সবচেয়ে বিরলতম হলো সারকোমা। পেশী এবং সংযোগকারী টিস্যুতে শুরু হয় এই ক্যান্সার।

পেনাই ক্যান্সারের লক্ষণ ও উপসর্গগুলি

পুরুষদের যৌনাঙ্গে ক্যান্সার হলে সকলের ক্ষেত্রে একই ধরনের উপসর্গ দেখা যাবে এমনটা নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞ বিনয় স্যামুয়েল গায়কোয়াড় সচেতন হয়ে এই রোগের সাধারণ উপসর্গগুলি আগে থেকে জেনে রাখতে বলছেন, যাতে সঠিক সময়ে রোগ চিহ্নিত করে প্রতিকার করা যায়।

* যৌনাঙ্গের যে অংশে ক্যান্সার কোষ আক্রান্ত হয় সেখানকার ত্বকের রং পাল্টে যায়। 
* যৌনাঙ্গে দেখা যেতে পারে নীলচে বাদামী রঙের বাম্প। ত্বকে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। 
* দুর্গন্ধযুক্ত তরল নিঃসৃত হতে পারে। 
* ওজন কমে যেতে পারে 
* শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল থাকবে। 
* অবিরাম জ্বর আসতে পারে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ভুগছেন? নিয়মিত এই যোগাসনগুলো করলে মিলবে আরাম, জেনে নিন কী কী