পানীয় জল থেকেও হতে পারে পাকস্থলীর ক্যান্সার! মারাত্মক তথ্য চিকিৎসকদের হাতে

Published : Nov 21, 2025, 06:50 PM IST
stomach cancer

সংক্ষিপ্ত

দূষিত পানীয় জলের মাধ্যমেই নিঃশব্দে শরীরে ঢুকে পড়ছে হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি (H. pylori) নামের এক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। সম্প্রতি কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে এক সচেতনতা সভায় চিকিৎসকেরা এই বিষয়টি তুলে ধরেন।

পানীয় জলের মাধ্যমে পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।কারণ দূষিত জল, যেমন পাইপবিহীন বা অপরিশোধিত জলের উৎস থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ, যেমন আর্সেনিক, রেডিয়াম এবং ইউরেনিয়াম, শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই দূষিত পদার্থগুলি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যার মধ্যে পাকস্থলীর ক্যান্সারও অন্তর্ভুক্ত। দূষিত জল এবং পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে, নিরাপদ এবং পরিশোধিত জলের উৎস ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।

* পানীয় জলের মাধ্যমে পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি

** দূষিত পদার্থের উপস্থিতি: পানীয় জলে আর্সেনিক, রেডিয়াম, ইউরেনিয়াম এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ থাকতে পারে, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

** দূষিত জলের উৎস: পাইপবিহীন এবং অপরিশোধিত জলের উৎস, যেমন কুয়ো এবং পৃষ্ঠের জল, ক্যান্সারের ঝুঁকির সাথে বেশি যুক্ত।

** অন্যান্য ক্যান্সার: দূষিত পানীয় জল মূত্রনালী, ফুসফুস, লিউকেমিয়া এবং অন্যান্য নরম টিস্যুর ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।

* ঝুঁকি কমাতে করণীয়

** নিরাপদ পানীয় জল ব্যবহার করুন: পানীয় জলের জন্য নিরাপদ এবং পরিশোধিত উৎস ব্যবহার করুন।

** নিয়মিত পরীক্ষা করুন: আপনার পানীয় জলের উৎস নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখুন।

**পরিবেশগত কারণগুলি বিবেচনা করুন: আপনার এলাকায় জলের দূষণের মাত্রা এবং ঝুঁকি সম্পর্কে জানুন। এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে, আপনি পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারেন।

চিকিৎসকদের দাবি, দেশে এবং বিশেষত রাজ্যে পানীয় জলের মান যেমন অবনতি হচ্ছে, তাতে এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দারুণভাবে বাড়ছে। অধিকাংশ মানুষই প্রথমদিকে এর কোনও লক্ষণ বুঝতে পারেন না। ধীরে ধীরে এটি পাকস্থলীতে বাসা বেঁধে আলসার থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ ঘটায়, যা পরবর্তী সময়ে স্টম্যাক ক্যানসারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে স্টম্যাক ক্যানসার আক্রান্ত অনেক রোগীর জীবনপঞ্জিতে কোনও না কোনও সময় হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরির সংক্রমণের উল্লেখ মিলেছে।

ডা. খাণ্ডেলওয়ালের মতে, “আমাদের দেশ তথা এ রাজ্যে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। শুধু সচেতনতা বাড়িয়ে আলসার বা প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীর সংক্রমণ ধরে ফেলা য়ায়, তবে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।” তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, বাড়িতে ওয়াটার পিউরিফায়ার থাকলেই সব ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হয় না। “হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি অত্যন্ত সূক্ষ্ম জীবাণু, সাধারণ পিউরিফায়ারে এটি নষ্ট হয় না,” মন্তব্য করেন তিনি।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ভুগছেন? নিয়মিত এই যোগাসনগুলো করলে মিলবে আরাম, জেনে নিন কী কী