থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহজ ডায়েট মেনে চলুন, ধীরে ধীরে কমে আসবে এই রোগ

থাইরয়েড রোগ হলে আমাদের শরীরে এর লক্ষণ দেখা দিতে থাকে। এই রোগটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের মধ্যে ঘটে। থাইরয়েডের উপসর্গ সম্পর্কে বলতে গেলে, এই রোগের কারণে শরীরের ওজন হয় দ্রুত বাড়তে শুরু করে বা কমতে থাকে।

Web Desk - ANB | Published : Jan 10, 2023 2:25 PM IST

থাইরয়েড একটি রোগ যা আমাদের দুর্বল রুটিন এবং ডায়েটের কারণে হয়। থাইরয়েড হল আমাদের গলার সামনে একটি ছোট প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি যা থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ করে। এটি উইন্ড পাইপের ঠিক উপরে। এই গ্রন্থির ব্যাঘাতের কারণে শরীরে থাইরয়েডের মতো রোগ শুরু হয়। খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, পর্যান্ত ঘুমের অভাব, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত আজ সকলে। জীবনযাত্রার এমন পরিবর্তনের জন্য একাধিক রোগ শরীরে বাসা বাঁধছে। এর মধ্যে ডায়াবেটিস, হাই প্রেসার, কোলেস্টেরলে যেমন আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তেমনই থাইরয়েডে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। এই রোগ একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ। গবেষণায় জানা গিয়েছে, প্রতি ৮ জন মহিলার মধ্যে একজন মহিলা থাইরয়েডে আক্রান্ত।

এভাবেই থাইরয়েড ধরা পড়ে

থাইরয়েড রোগ হলে আমাদের শরীরে এর লক্ষণ দেখা দিতে থাকে। এই রোগটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের মধ্যে ঘটে। থাইরয়েডের উপসর্গ সম্পর্কে বলতে গেলে, এই রোগের কারণে শরীরের ওজন হয় দ্রুত বাড়তে শুরু করে বা কমতে থাকে। এর পাশাপাশি মানসিক চাপ, অনিদ্রা, কোলেস্টেরল এবং দ্রুত হৃদস্পন্দনের মতো সমস্যায় এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা যায়। থাইরয়েডের স্বাভাবিক পরিসীমা অর্থাৎ TSH ০.৪ - ৪.০ mIU/L এর মধ্যে। অন্যদিকে, যদি TSH-এর মাত্রা ২.০-এর বেশি হয়, তাহলে হাইপোথাইরয়েডিজম হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

আপনার খাদ্যই থাইরয়েডের প্রধান কারণ

আপনার খারাপ খাদ্যও থাইরয়েড হওয়ার একটি বড় কারণ। একটানা খারাপ ও অসময়ে খাবার খেলে থাইরয়েড বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে একটি ভালো ডায়েট প্ল্যান খুবই উপকারী। থাইরয়েড খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় ভালো খাবারের মাধ্যমে।

এই ধরনের ডায়েট চার্ট অনুসরণ করলে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে থাকবে

চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণ খাবার খেলে আপনার থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এর জন্য আপনাকে শুধু এই ডায়েট প্ল্যান ফলো করতে হবে। থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করতে, সকালে এক গ্লাস ফুল ক্রিম দুধের সাথে ৬টি বাদাম, ২টি ভেজানো আখরোট এবং ৮ থেকে ১০টি কিসমিস খান। এখন সকালের জলখাবারে দুটো পনির পরোটা, এক বাটি দই, ১টা সেদ্ধ ডিম, কলার রস বা যেকোনো ফলের রস, দুপুরের খাবারে দুটি পাউরুটি, এক বাটি রাজমা, এক টুকরো মাছ, মৌসুমি সবজি, এক বাটি ক্ষীর বা রায়তা, সন্ধ্যায়, একটি পাত্রে গ্রিল করা পনির বা কালো ছোলার টুকরো, এক বাটি সবজি, এক বাটি তুর ডাল, এক বাটি ডিমের তরকারি, এক বাটি ফুল ক্রিম দুধ এবং দুটি খেজুর খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। এটা থাইরয়েডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বেশ কার্যকর ডায়েট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছ।

Share this article
click me!