
জল না পান করলে শরীরে জলশূন্যতা দেখা দেয়। যা অসংখ্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণ হতে পারে। এটি আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও জল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীর ঘামের মাধ্যমে তাপ বের করে দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে পর্যাপ্ত জল না পান করলে অসংখ্য স্বাস্থ্য এবং ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশই জল, যা প্রতিটি অঙ্গ, পেশি ও কোষের সঠিক কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। জল শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ত্বকসহ সামগ্রিক স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন—জল পান করার পর শরীর আসলে কতক্ষণে হাইড্রেট হয়? চলুন, জেনে নিই বিস্তারিত—
বিশেষজ্ঞদের মতে, জল পান করার ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই শোষণ প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং প্রায় ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে শরীর সম্পূর্ণভাবে হাইড্রেট হয়।
** খালি পেটে নাকি খাবারের পর খাচ্ছেন জল
** জল ঠাণ্ডা নাকি হালকা গরম এবং শরীরের বর্তমান অবস্থা ও আবহাওয়া কেমন।
** প্রস্রাবের রংই বলে দেয় শরীর কতটা হাইড্রেটেড। প্রস্রাবের রং শরীরের জলের ভারসাম্য বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায়। হালকা রঙের প্রস্রাব মানে শরীরে পর্যাপ্ত জল আছে। গাঢ় হলুদ প্রস্রাব ইঙ্গিত দেয় জলের ঘাটতি বা ডিহাইড্রেশন-এর।
এ ছাড়া আবহাওয়ার প্রভাবও গুরুত্বপূর্ণ—গরমে বেশি ঘাম হয়, ফলে প্রস্রাব কম হয়। শীতে কম ঘাম, তাই প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়। শুধু জল নয়, দরকার ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য।
হাইড্রেশনের পাশাপাশি শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। কেবল জল খেয়ে ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি তৈরি হলে দুর্বলতা বা মাথা ঘোরা দেখা দিতে পারে।
সাধারণভাবে দিনে ৮–১০ গ্লাস জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এটি একেক জনের শরীর, কাজের ধরন ও আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। গরমকালে তুলনামূলক বেশি জল পান করা উচিত, আবার শীতকালে জল-সমৃদ্ধ খাবার যেমন শসা, টমেটো, তরমুজ বা মূলা খেলে শরীর স্বাভাবিকভাবে হাইড্রেটেড থাকে।