
ঘুম থেকে উঠেই বিছানা গুছিয়ে ফেললে তা শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।কারণ এর ফলে মাইট এবং অ্যালার্জেন জন্মানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। যারা অ্যালার্জিতে ভোগেন, তাদের জন্য এই অভ্যাসটি আরও বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। বিছানা গুছানোর আগে যদি কিছু সময় (যেমন অন্তত এক বা দুই ঘণ্টা) অপেক্ষা করা যায়, তাহলে শরীর থেকে ঘাম ও ময়েশ্চার evaporates হয়ে যায়, যা মাইট এবং অ্যালার্জেন জন্মানোকে বাধা দেয়।
১) মাইট এবং অ্যালার্জেন: ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের শরীর থেকে ঘাম ও ময়েশ্চার নির্গত হয়। বিছানা গুছিয়ে ফেললে এই ঘাম ও ময়েশ্চার আবদ্ধ হয়ে যায়, যা মাইট এবং অ্যালার্জেন জন্মানোর জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
২)অ্যালার্জির ঝুঁকি: যারা অ্যালার্জিতে ভোগেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা হতে পারে। মাইট এবং অ্যালার্জেন হাঁচি, কাশি, এবং শ্বাসকষ্টের মতো অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
৩)সৃষ্টিকর্তা ও পরিবেশ: যেহেতু মাইট এবং অ্যালার্জেন বিছানায় জমা হয়, তাই বিছানা গুছানোর আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে তারা বাতাসে মিশে যায় এবং কম ক্ষতিকর হয়।
* কিছু সময় অপেক্ষা করুন: ঘুম থেকে ওঠার পর অন্তত এক বা দুই ঘণ্টা বিছানা না গোছানোর চেষ্টা করুন।
* বিছানা ছড়িয়ে দিন: বিছানার চাদর ও কম্বল ছড়িয়ে দিন যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং ময়েশ্চার evaporate হয়ে যায়।
* নিয়মিত ধোয়া: নিয়মিতভাবে বিছানার চাদর ও কম্বল ধুয়ে পরিষ্কার করুন।
* কখন বিছানা পরিষ্কার করা উচিত :
চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ঘুম থেকে ওঠার পর অপরিচ্ছন্ন বিছানা অন্তত ১ ঘণ্টা রেখে দেওয়া উচিত। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে আর্দ্রতা ক্রমশ শুকিয়ে যাবে। তার ফলে জীবাণুর পরিমাণও কমতে শুরু করবে। একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, দু’বছরের পুরনো একটি বালিশের মধ্যে ১ কোটি জীবাণু থাকতে পারে।
বিছানা জীবাণুমুক্ত রাখতে বালিশের কভার এবং চাদর সপ্তাহে অন্তত দু’বার কাচা উচিত। কাচা সম্ভব না হলে সপ্তাহের অন্তত এক বার চাদর এবং বালিশের কভার বদলে ফেলা উচিত। তার ফলে জীবাণুর সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকাংশে কমতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: যদিও অনেক মানুষ মনে করেন যে দিনের শুরুতে বিছানা গুছিয়ে নিলে মন ভালো থাকে, কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এই অভ্যাসটি কিছু পরিবর্তন করা যেতে পারে।