Health News: জন কমানোর চেষ্টায় অনেকেই সালাদের অপরিহার্য অংশ হিসেবে শসা গ্রহণ করেন। শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণেই নয়, শরীরকে ঠান্ডা রাখতেও শসা একটি অত্যন্ত কার্যকর সবজি। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে শসা খেলে শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে।
Healthcare: ওজন কমাতে শসা খুবই উপকারী কারণ এতে ক্যালোরি কম ও জলীয় অংশ বেশি, যা পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে; তবে অতিরিক্ত শসা খেলে বদহজম, পেটে ব্যথা, ডিহাইড্রেশন, শরীরে পটাশিয়াম ও ভিটামিন C-এর ভারসাম্যহীনতা এবং কিডনির সমস্যা হতে পারে। কারণ এতে কিউকারবিটাসিন-এর মতো উপাদান আছে, তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো।
ওজন কমাতে শসার ভূমিকা-
কম ক্যালোরি: শসাতে ক্যালোরি খুবই কম (একটি মাঝারি শসায় প্রায় ৪৫ ক্যালোরি), তাই বেশি খেলেও ওজন বাড়ে না।
জলীয় অংশ: এতে প্রায় ৯৫% জল থাকায় পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া কমে যায়।
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ: শসা খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, যা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত শসা খেলে কী হতে পারে?
বদহজম ও পেটে ব্যথা: অতিরিক্ত খেলে পেটে গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং ব্যথা হতে পারে।
ডিহাইড্রেশন: শসায় থাকা কিউকারবিটিন নামক উপাদান মূত্রবর্ধক, তাই বেশি খেলে শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
পুষ্টির অভাব: শুধু শসা খেয়ে থাকলে প্রোটিন, ফ্যাট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা: বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম গ্রহণের ফলে শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
কিডনির ওপর প্রভাব: কিডনির সমস্যা থাকলে বেশি শসা খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।
ভিটামিন C-এর আধিক্য: অতিরিক্ত ভিটামিন C কোষের ক্ষতি করতে পারে।
তিক্ত শসা: তেতো শসাতে কিউকারবিটাসিন নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা খাওয়া উচিত নয়।
কতটা শসা খাবেন?
পরিমিত: ওজন কমাতে শসা একটি ভালো সংযোজন, কিন্তু এটি একমাত্র খাবার নয়।
সঠিক সময়: রাতের খাবারের ২০-৩০ মিনিট আগে সালাদ হিসেবে খাওয়া ভালো। সকালে খালি পেটে খাওয়া উচিত নয় কারণ এটি লো ব্লাড প্রেশার অ্যাটাক ঘটাতে পারে।
ভারসাম্য: অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার, যেমন প্রোটিন ও ফ্যাট, এর সাথে শসা খাওয়া উচিত।