আপনি নিশ্চয়ই অনেক উপায়ে দই খেয়েছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে দইয়ে লবণ যোগ করা শরীরের জন্য বেশি উপকারী নাকি গুড় ও চিনি মিশিয়ে খাওয়া বেশি উপকারী।
গ্রীষ্মকাল আসছে এবং এই ঋতুতে মানুষ দই খুব পছন্দ করে। কেউ চিনি মেশানো দই খান, আবার কেউ কেউ লবণ মেশায়। অনেকেই দই লস্যি বানিয়ে গরম থেকে আরাম পাওয়ার চেষ্টা করেন।
গরমে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। খাবারে দই মেশানো হলে স্বাদ বাড়ে। গরমে বাড়িতে আসা অতিথিদেরও লস্যি বানিয়ে পান করতে পারেন। দই শুধু স্বাদের জন্যই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী।
দই খেলে পেটের সমস্যা হয় না। আপনার শরীর দই থেকে প্রোটিন এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টি পায়। গরমে দই শিশুদের জন্যও খুবই উপকারী। দইয়ে চিনি মিশিয়ে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন।
গরম থেকে স্বস্তি পেতে দই খাওয়া হলেও গরমে দইয়ের প্রভাব রয়েছে। এটি অম্লীয় প্রকৃতির এবং অবিচ্ছিন্নভাবে খাওয়া উচিত নয়। সাধারণ দই আমাদের রক্তকে দূষিত করতে পারে এবং ত্বকের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
আয়ুর্বেদ স্পষ্টভাবে বলে যে রাতে দই এড়ানো উচিত এবং প্রতিদিন খাওয়া উচিত নয়। মুগ, মধু, ঘি, চিনি এবং আমলা মিশিয়ে দই খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
মাঝে মাঝে নুন যোগ করে দই খাওয়া যেতে পারে, তবে সবসময় তা করা উচিত নয়। দই গরম এবং এতে বেশি লবণ যোগ করলে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। এটি করার ফলে চুল পড়া, চুল অকালে পাকা হয়ে যাওয়া এবং ত্বকে ব্রণ হতে পারে।
তাই দইয়ে লবণ মেশানো এড়িয়ে চলতে হবে। চিনির কথা বললে, চিনি দিয়ে দই খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। দইয়ে চিনি মেশানো হলে এতে শীতল প্রভাব থাকে এবং এটি খেলে কোনো ক্ষতি হয় না। গুড় মিশিয়ে দই খাওয়াও অনেক উপকারী।
গরমে দই লস্যি বানিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়। দইয়ে চিনি মেশানো হলে এর প্রভাব শীতল হয় এবং এর ব্যবহার গরম থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও শরীর শক্তি পায় এবং সতেজ অনুভব করে।
লস্যি পান করলে আমাদের শরীরও হাইড্রেটেড থাকে এবং জলের অভাব হয় না। তবে এর অত্যধিক সেবন এড়িয়ে চলতে হবে যাতে স্বাস্থ্যের উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।