কিডনির সমস্যা দেখা দিলে কোন কোন খাবার গুলি এড়িয়ে চলবেন জেনে নিন

Published : Nov 24, 2025, 04:47 PM IST
kidney damage

সংক্ষিপ্ত

এক বার কিডনির সমস্যা ধরা পড়লে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ায়। অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি, না কি ক্রনিক কিডনি ফেলিয়োর, তা জেনেই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে রোজের ডায়েট স্থির করতে হবে।

কিডনির সমস্যা থাকলে সমস্যা আরও বাড়াতে পারে এমন ৫ ধরনের খাবার হলো - অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার, উচ্চ ফসফরাসযুক্ত খাবার, উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত ও ফাস্ট ফুড এবং বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার। এই খাবারগুলো কিডনির উপর চাপ বাড়ায় এবং রোগ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই এগুলো এড়িয়ে চলা বা পরিমাণে কম খাওয়া উচিত।

জল কম খাওয়া, সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া, বাইরের খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া— এমন কিছু কারণে কিডনি সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। কিডনিতে সংক্রমণ, পাথর জমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। যে কোনও বয়সে ধরা পড়তে পারে এই রোগ। এক বার কিডনির সমস্যা ধরা পড়লে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ায়।

* কিডনির রোগ বাড়াতে পারে এমন ৫ ধরনের খাবার:

১) অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার: সোডিয়াম বা লবণ অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে রক্তচাপ বেড়ে যায়, যা কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে। প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটবন্দি খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন।

২) উচ্চ ফসফরাসযুক্ত খাবার: কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তে ফসফরাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। এটি হাড়ের স্বাস্থ্য নষ্ট করতে পারে এবং রক্তনালীতে সমস্যা তৈরি করতে পারে। দুধ, পনির, এবং কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবারে ফসফরাস বেশি থাকে।

৩) উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার: পটাশিয়াম বেশি হলে তা হার্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং কিডনির কার্যকারিতা আরও কমিয়ে দিতে পারে। কিছু সবজি যেমন - গাজর, মুলা, বেগুন, ফুলকপি, এবং ফল যেমন - কলা, কমলা, অ্যাভোকাডো, এবং বিশেষ করে কিছু বিশেষ ধরনের ফল যেমন - আপেল, আঙুর, এবং বেল এই তালিকায় পড়ে।

৪) প্রক্রিয়াজাত ও ফাস্ট ফুড: এই ধরনের খাবারে সোডিয়াম, ফসফরাস, এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।

৫)কিডনি রোগীদের সবার আগে কতটা জল খাবেন, তা জানা দরকার। চিকিৎসকের নির্দিষ্ট করে দেওয়া জলের চেয়ে বেশি পরিমাণ তরল কখনওই খাওয়া যায় না। যে কোনও রকম নরম বা অ্যালকোহল-যুক্ত পানীয়, এনার্জি ড্রিঙ্ক খাওয়াও বারণ।

অতিরিক্ত প্রোটিন: প্রোটিন কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে রক্তে বর্জ্য জমা হতে পারে এবং ইউরেমিয়া নামক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনি রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কিডনি রোগের নির্দিষ্ট অবস্থা (যেমন - অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি বা ক্রনিক কিডনি ফেইলিওর) এবং তার পর্যায়ে অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন হতে পারে। তাই কোনো খাদ্যতালিকা অনুসরণ করার আগে একজন পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যাবশ্যক।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ভুগছেন? নিয়মিত এই যোগাসনগুলো করলে মিলবে আরাম, জেনে নিন কী কী