
মাথা ব্যাথা কমবে সুগন্ধ ছড়ালেই, অভিনব উপায়ে শরীর ও মনকে চাঙ্গা করে তুলুন। বিগত কয়েক বছরের মহামারীর পর স্বাভাবিকভাবেই মানুষের ইমিউনিটি সিস্টেম একেবারে দুর্বল হয়ে গেছে, অল্প কিছুতেই জোর সর্দি কাঁশি মাথা ব্যাথা লেগেই রয়েছে, অথচ কাজের চাপে বিশ্রাম নেওয়াও দুস্কর, মন ও মাথা দুইই ভারাক্রান্ত। ডাক্তার দেখিয়ে মুড়ি মুড়কির মতো ওষুধ না খেয়ে অন্য উপায় বের করতেই হয়। তাই এবার ঘ্রাণ ও ত্বকের শোষণ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন এক থেরাপি উঠে এসেছে। একে বলে অ্যারোমাথেরাপি। এতে সুগন্ধ ছড়িয়ে মন ও শরীরকে সুস্থ করার প্রচেষ্টা করা হয় ধীরে ধীরে। সুগন্ধি ছড়ানোর যন্ত্র বা ইনহেলারের মাধ্যমে নাকে সেই গন্ধ পৌঁছে দেওয়া হয়। কখনও বা স্নানের জলে বিশেষ ধরনের সুগন্ধিও মিশিয়ে দেওয়া হয়।
কিভাবে করবেন অ্যারোমাথেরাপি?
১. হালকা গরম স্নানের জলে মাত্র কয়েক ফোঁটা পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। মাথার চাপ কোমবে, মন ও মাথা ভারমুক্ত হবে।
২. শোবার সময় পাশ বালিশ বা মাথার বালিশে বা রুমালে কয়েক ফোঁটা পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে তার আঘ্রাণ নিন। ঘুম ভালো আসবে। সকালে ঝরে ঝরে অনুভূতি হবে।
৩. নারকেল তেল ba অলিভ অয়েলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে কপালে মাসাজ করতে পারেন, আরাম বোধ করবেন।
৪. ঘর পরিষ্কার করার পর বা সন্ধ্যে বেলা অ্যারোমা স্টিক বা অ্যারোমা ডিফুজার ব্যবহার করুন, বেশ ফুরফুরে মনে হবে সাথে সারাদিন।
কীভাবে কাজ করে থাকে অ্যারোমাথেরাপি?
শুধু মাইগ্রেন বা মানসিক চাপের কারণে মাথা ব্যাথা হয়না, ঋতুচক্র চলাকালীন অবসাদ, বা আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময়ও মাথা ভার হয়ে থাকে। একটি করিয়ান গবেষণাপত্রে উল্লেখ আছে , স্নায়ুর উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে করতে সাহায্য করে এসেনশিয়াল অয়েল যা অ্যারোমাথেরাপিটে ব্যবহার করা হয়। পেপারমিন্ট অয়েলে ‘মেন্থল’র উপস্থিতি শরীরে ঠান্ডা ভাব এনে উত্তেজিত মন ও শারীরিক অস্বস্থি কমাতে পারে। আবার, ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ঠান্ডা বা সর্দি লেগে মাথা ব্যথা হলে আরাম মেলে ইউক্যালিপটাস অয়েলে। এমনকি বন্ধ নাক ও খুলে দিতে পারে এই ইউক্যালিপটাস অয়েল।