World No Tobacco Day 2025: ৩১ মে বিশ্ব ধূমপানবিরোধী দিবস পালিত হয়। এর পিছনে লক্ষ্য হল মানুষকে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করা। যদি আপনিও ধূমপান করেন, তাহলে এখানে জানতে পারবেন কিভাবে স্বাভাবিক উপায়ে ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন।
ধূমপানের নেশা একবার লেগে গেলে তা ছাড়া সহজ নয়। যার ফলে স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। নিকোটিনের নেশা শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। তবে চেষ্টা করলে স্বাভাবিকভাবেই ধূমপানের নেশা ছাড়া সম্ভব, জীবনযাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে।
27
ধ্যান এবং গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস অভ্যাস করুন
ধূমপান ত্যাগের জন্য যখন আপনি প্রতিজ্ঞা করেন, তখন অনেক সময় আপনার পথ দোদুল্যমান হয়। কিন্তু যদি আপনি আপনার মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলে আপনি জয়ী হবেন। ধূমপান ত্যাগ করার জন্য প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট ধ্যান এবং গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। এতে মন শান্ত হয় এবং নিকোটিনের তৃষ্ণা কমবে। ফলে সিগারেটের নেশা থেকে বাড়বে দূরত্ব।
37
প্রচুর জল পান করুন
যখনই ধূমপান করার ইচ্ছা হয়, তখনই এক গ্লাস জল পান করুন। জল শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দিতে সাহায্য করে এবং বারবার ধূমপান করার ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ করে। আপনার সঙ্গে সবসময় একটি জলের বোতল রাখুন।
যখনই ধূমপান করার ইচ্ছা হয়, কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খান, যেমন গাজর, শসা, ড্রাই ফ্রুটস বা চুইংগাম। এতে মনোযোগ অন্যদিকে সরে যায় এবং ধীরে ধীরে তৃষ্ণা কমে। বাজারে বিভিন্ন ধরণের চুইংগাম পাওয়া যায় যা চিবানোর ফলে ধূমপান বা গুটখার তৃষ্ণা কমে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনি এটি কিনে রাখতে পারেন।
57
ব্যায়ামকে রুটিন করে তুলুন
ব্যায়াম করলে ডোপামিন নিঃসৃত হয়, যা নিকোটিনের মতোই "আনন্দ" দেয়, তবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে। নিয়মিত হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম বা যেকোনও শারীরিক কার্যকলাপ ধূমপানের তৃষ্ণা কমায়।
67
তৃষ্ণার জার্নাল রাখুন
প্রতিবার যখন ধূমপান করার ইচ্ছা হয়, তা লিখে রাখুন, কখন, কেন এবং কতটা তীব্র। এতে আপনি ট্রিগারগুলি চিহ্নিত করতে পারবেন এবং সেগুলি মোকাবেলা করা সহজ হবে।
77
সামাজিক সহায়তা নিন
আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারকে জানান যে আপনি ধূমপান ত্যাগ করতে চান। চাইলে কোনও সহায়তা সংস্থার সঙ্গে যোগ দিন। যখন কেউ আপনাকে উৎসাহ দেয় বা সঙ্গ দেয়, তখন অভ্যাস পরিবর্তন করা সহজ হয়। যারা ধূমপান করে তাদের সঙ্গে থাকবেন না। কারণ তাদের দেখে আপনার হাত নিজেই সেই দিকে ঘুরে যাবে। ধূমপানের দোকানের দিকে তাকানোও বন্ধ করুন। তাহলেই মিলবে হাতেনাতে ফল। থাকবে শরীর ও মন সুস্থ।