
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সেরা যোগাসন: গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ মহিলারা মনে করেন যে তাদের কোনও কাজ করা উচিত নয়, ওয়ার্কআউট করা উচিত নয়। অথচ, ডাক্তাররাও মনে করেন যে গর্ভাবস্থায় যদি হালকা যোগাসন করা হয় তবে এটি কেবল আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে না, শিশুর বিকাশের জন্যও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে আজ আমরা আপনাদের জানাবো গর্ভাবস্থায় আপনারা কোন ৭ টি যোগাসন করতে পারেন এবং এটি দিয়ে নিজের এবং আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারেন।
বজ্রাসন
গর্ভাবস্থার প্রথম এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আপনি ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য বজ্রাসন যোগ করতে পারেন। খাওয়ার পর এটি করলে হজম ভালো থাকে এবং গ্যাস এবং ব্লোটিং এর সমস্যা হয় না।
মার্জারিয়াসন
মার্জারিয়াসন বা বিড়াল ভঙ্গি প্রথম-দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে করা যেতে পারে। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আপনি তৃতীয় ত্রৈমাসিকেও এই আসনটি চার থেকে পাঁচ বার করতে পারেন। এটি মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়ায় এবং কোমরের ব্যথায় আরাম দেয়।
বদ্ধকোণাসন (Butterfly Pose)
বদ্ধকোণাসন বা বাটারফ্লাই পোজ পেলভিক অঞ্চলকে শক্তিশালী করে। এটি স্বাভাবিক প্রসবেও সাহায্য করে। আপনি তিনটি ত্রৈমাসিকেই প্রতিদিন ৫ মিনিট এই আসনটি করতে পারেন।
শবাসন
শবাসন শরীরকে শিথিল করার জন্য, ক্লান্তি এবং চাপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। আপনি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ১০ মিনিট বাম দিকে কাত হয়ে শবাসন করতে পারেন। প্রথম ত্রৈমাসিকে সোজা শুয়েও শবাসন করা যেতে পারে।
তিতলি আসন
তিতলি আসন পেলভিক অঞ্চলকে শক্তিশালী করে, উরু এবং নিতম্বকে নমনীয় করে তোলে এবং স্বাভাবিক প্রসবেও সাহায্য করে। আপনি আপনার গর্ভাবস্থার তিনটি ত্রৈমাসিকেই এই যোগাসনটি করতে পারেন।
অনুলোম বিলোম প্রাণায়াম
অনুলোম বিলোম প্রাণায়াম করা অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। আপনি পুরো ৯ মাস ধরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত প্রাণায়াম করতে পারেন। অনুলোম বিলোম করলে মন শান্ত হয় এবং শিশুর কাছে অক্সিজেন সরবরাহ ভালো হয়।
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস