
শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকশে ভিটামিন এফের জুড়ি মেলা ভার। ভিটামিন এফ শরীরের একটি অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড যা ওমেগা - ৬ পরিবারের অংশ। এই ধরবের ফ্যাটি অ্যাসিড আসলে ত্বজের সুরক্ষা কবচ। ধুলো - ধোয়া, রোদ - অতি বেগুনি রশ্মি, যেকোনো কঠোর চাপ সত্ত্বেও ত্বককে সুস্থ রাখতে ভিটামিন এফ আগে এগিয়ে সবসময়। মৃত কোষের পুনরুজ্জীবন, ত্বকের আর্দ্রতা বহায় রাখা, জেল্লা ফিরিয়ে আনায়ে ভিটামিন এফের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ভিটামিন এফের উপকারিতা
১. তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ, ৱ্যাশ, ফাংগাল ইনফেকশন দূর করতে চিকিৎসকেরা ভিটামিন এফ সমৃদ্ধ ওষুধ বা ক্রিম দিয়ে থাকে।
২. শুস্ক ত্বকে ভিটামিন এফোন সমৃদ্ধ ক্রিম, ফেস ওয়াশ লাগাতে পারেন।
৩. ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বা ভিটামিন এফ ত্বকের কালচে দাগ ছোপ ও অকাল বর্ধক্য রোধ করে।
৪. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে ভিটামিন এফ সমৃদ্ধ সান্সক্রিম ব্যবহার করুন।
৫. ফ্ল্যাক্স সিড বা চিয়া সিড গরম জলে ভিজিয়ে থক থকে হয়ে এলে ত্বকে ব্যবহার করুন, ত্বক হাইড্রেটেড ও নরম ও জেল্লাদার থাকবে।
ভিটামিন এফ সমৃদ্ধ খাবার
প্রাকৃতিক যে খাবারগুলো থেকে ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ এই দুই ধরণের ফ্যাটি অ্যাসিড পেয়ে থাকি এবং যেগুলো সাধারণ বাজারেও পাবেন এমন সব ফল সবজির সন্ধান দেবো আজকে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, যেমন - কাজু, আখরোট, হেজেল নাট, ফ্লেক্স সিড, চিয়া সিড, সানফ্লাওয়ার সিড, সয়াবিন তেল এগুলো ভিটামিন এফ এর ভালো উৎস। এছাড়াও সালমন মাছ, টুনা মাছ, সারডিন মাছ, সয়াবিন তোফু, কিউই ফল ইত্যাদিকেও তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দৈনিক আমাদের শরীরে ১.১ থেকে ১.৬ গ্রাম ওমেগা ৩ ফ্যাটি আসিড এবং ১১ থেজে ২২ গ্রাম ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ করতে হয়।
এই ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড খাবার ছাড়াও নানা রকম সাপ্লিমেন্ট ও ক্যাপসুলেও পাওয়া যায়। তবে যতটা সম্ভব খাবার থেকে এই ফ্যাটি আসিড গ্রহণ করা উচিত। কারণ, সব সাপ্লিমেন্ট সবার শরীরের জন্য কার্যকরী নাও হতে পারে। শরীরে যেহেতু অন্যান্য খনিজ বা ভিটামিনের মতো ওমেগা ৩ ও ৬ তৈরি হয় না, তাই খাবারদাবার থেকেই তা গ্রহণ করতে হয়।