
Smile Therapy: আজকের ব্যস্ত ও দ্রুতগতির জীবনে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা লেগেই রয়েছে। একঘেয়ে হয়ে উঠেছে সব। অনেকে মানসিক সুস্থতার জন্য ওষুধ, থেরাপি বা মেডিটেশনের মতো পদ্ধতির সাহায্য নেন। তবে জানেন কি, এমন একটি সহজ, প্রাকৃতিক এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে উপায় রয়েছে যা আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যকে একসঙ্গে উন্নত করতে পারে? সেটি হল Laughter Therapy। একটুখানি খোলামেলা হাসি আপনাকে দিতে পারে প্রশান্তি, হতে পারে দেহের রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
১। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ হ্রাসে হাসির ভূমিকা
হাসলে শরীরে এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়, যা মন ভালো রাখার হরমোন হিসেবে কাজ করে। এটি স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল-এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। নিয়মিত হাসি থেরাপি করলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং হতাশার মাত্রা অনেকটাই হ্রাস পায়।
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
হাসলে শরীরে টি-কোষ ও অ্যান্টিবডির উৎপাদন বাড়ে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। নিয়মিত হাসি শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে এবং সর্দি-কাশির মতো সাধারণ রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হয়।
৩। সামাজিক সম্পর্ক উন্নত করে
হাসি মানুষকে কাছে আনে। দলবদ্ধ হাসি থেরাপিতে অংশগ্রহণ করলে মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এবং একাকীত্ব দূর হয়। পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়। বিষণ্ণতায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী।
৪। শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন
হাসি হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তচাপ কমায় এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত করে। এটি একটি মৃদু ব্যায়ামের মতো কাজ করে, পেশী শিথিল করে ও শরীরকে চাঙ্গা রাখে। দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্তদের জন্য হাসি থেরাপি উপকারী হতে পারে।
হাসুন, মন খুলে হাসুন! দরকার হলে প্রতিদিন সময় করে কমেডি শো, কার্টুন দেখে হাসুন। বয়স্করা লাফিং ক্লাবে যান। সময় বের করে বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটান, তাদের সাথে মন খুলে কথা বলুন হাসুন। দীর্ঘদিন যাবত বিষন্নতা বা মানসিক চাপে ভুগলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসুন, অনুশীলন করুন হাসার। প্রয়োজনে হাসি থেরাপি সেশনে অংশগ্রহণ করুন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।