Air Conditioner Health Effect: বাড়িতে হোক কিংবা অফিসে, দীর্ঘসময় এসিতে থাকার অভ্যাস রয়েছে আপনার? এসির মধ্যে থেকে বেরিয়ে সরাসরি বাইরে চলে যাচ্ছেন? জানেন নিজের অজান্তে কোন বিপদ ডেকে আনছেন? জানুন দীর্ঘক্ষণ এসি ব্যবহারের কুফলগুলি।
দিন-রাত এসি (এয়ার কন্ডিশনার) তে থাকা বা ঘুমানোর অভ্যাস ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করতে পারে — বিশেষ করে হাড়, ত্বক, জয়েন্ট এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এসি আরামদায়ক সুবিধা, তবে ভারসাম্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি দিন-রাত এসিতে থাকেন, তবে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ত্বক এবং হাড়ের সুরক্ষার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করুন। আসুন বিস্তারিত জেনে নেই এসিতে দীর্ঘক্ষণ থাকা বা ঘুমানোর ৬ টি বড় ক্ষতি এবং তাদের প্রতিকার:
27
হাড় এবং জয়েন্টে টান এবং ব্যথা
হাড় এবং জয়েন্টে টান এবং ব্যথা
এসির ঠান্ডা তাপমাত্রায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে বা শুয়ে থাকলে পেশীতে টান পড়ে এবং রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যায়। এর ফলে হাড় এবং জয়েন্টে ব্যথা বা টান শুরু হয়, বিশেষ করে কোমর এবং হাঁটুতে।
প্রতিকার:
রুমের তাপমাত্রা ২৪-২৬° সেলসিয়াসে রাখুন।
এসিতে ক্রমাগত বসে থাকার পরিবর্তে মাঝে মাঝে হাঁটুন বা Stretching করুন।
পাতলা চাদর দিয়ে শরীর ঢেকে রাখুন।
37
ত্বকের শুষ্কতা এবং চুলকানি
ত্বকের শুষ্কতা এবং চুলকানি
এসি বাতাসে থাকা আর্দ্রতা শুষে নেয়, যার ফলে ত্বক শুষ্ক, খসখসে এবং চুলকানিযুক্ত হতে পারে। এছাড়াও এসিতে দীর্ঘক্ষণ থাকলে হাড়, ত্বক, জয়েন্ট এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
প্রতিকার:
হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন অথবা রুমে পানির পাত্র রাখুন।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে।
এসিতে বারবার বসলে নাক এবং গলার ঝিল্লি শুকিয়ে যেতে পারে। এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা এবং অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও গলা খুশখুশ করতে পারে।
প্রতিকার:
রুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
এয়ার ফিল্টার সময়ে সময়ে পরিবর্তন করুন।
কিছু সময় প্রাকৃতিক বায়ু চলাচল (জানালা খোলা) সুনিশ্চিত করুন।
57
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
এসিতে বেশিক্ষণ থাকলে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং শরীর বাইরের তাপ সহ্য করতে পারে না। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
প্রতিকার:
এসি এবং বাইরের তাপমাত্রার পার্থক্য ৭-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না রাখা।
বারবার ঠান্ডা এবং গরম জায়গায় যাওয়া-আসা কমানো।
67
ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা
ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা
এসিতে দীর্ঘক্ষণ থাকলে শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা এবং মাইগ্রেন জাতীয় সমস্যা তৈরি হতে পারে।
প্রতিকার:
প্রতি ২-৩ ঘণ্টা অন্তর বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করুন।
কম্পিউটার/মোবাইলে কাজ করার সময় চোখকে বিশ্রাম দিন।
বেশি ঠান্ডা তাপমাত্রা (১৮-২০° সেলসিয়াস) একেবারেই না রাখা।
77
ঘাড় এবং পিঠে ব্যথা
ঘাড় এবং পিঠে ব্যথা
এসির সরাসরি হাওয়া ঘাড়, কাঁধ বা পিঠে পড়লে পেশীতে টান পড়ে , যার ফলে ব্যথা বা জড়তা হতে পারে।