
সুস্থ থাকতে এবং স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে সঠিক জীবনযাত্রা অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল, অনেকেই ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড খাওয়া এবং শরীরচর্চার অভাবে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন। শুধু ওজন বৃদ্ধিই নয়, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলও বেড়ে যায়। এর ফলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আপনিও কি অতিরিক্ত ওজন এবং শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে চান? তাহলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিছু পানীয় পান করলেই হবে। দশ দিনের মধ্যেই আপনার ওজনে পার্থক্য দেখতে পাবেন। নিশ্চিতভাবে ওজন কমবে।
খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণ কি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের শরীরের রক্তনালীতে খারাপ কোলেস্টেরল জমার প্রধান কারণ হল আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং তাতে থাকা অতিরিক্ত চর্বি। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক কারণ এটি হৃৎপিণ্ডের সাথে সংযুক্ত রক্তনালীতে জমা হয় এবং রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে। এর ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।
কোলেস্টেরল কি?
কোলেস্টেরল হল এক ধরনের মোমের মতো আঠালো পদার্থ। শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। একটি হল ভালো কোলেস্টেরল, যা শরীরে নতুন কোষ এবং হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
এই পানীয়গুলি ওজন কমাতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
১. তিসির বীজের জল..
তিসির বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে লিগনান থাকে, যা LDL কোলেস্টেরল কমাতে উপকারী বলে মনে করা হয়। আজকাল, তিসির বীজ বীজ, তেল, গুঁড়ো, ট্যাবলেট, ক্যাপসুল এবং ময়দার আকারে পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা সকালে খালি পেটে লেবুর রসের সাথে তিসির বীজ মিশিয়ে পান করার পরামর্শ দেন।
গাজরের রস
গাজরের রস ওজন কমাতে সাহায্য করে। গাজরের রস পুষ্টির একটি প্রাকৃতিক উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন K1 থাকে।
মেথির জল
মেথির বীজে এমন অনেক উপাদান রয়েছে যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষ করে, এই ছোট বীজগুলিতে থাকা উচ্চ ফাইবারের পরিমাণ অন্ত্রে চর্বি শোষণ কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে শরীরের চর্বির মাত্রা কমে। রাতে ঘুমানোর আগে কিছু মেথির বীজ জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পান করতে হবে।
বিটরুট-গাজরের রস
বিটরুটে নাইট্রেট থাকে, যা রক্তের সাথে বিক্রিয়া করে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়। অতএব, উচ্চ কোলেস্টেরলে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিটরুট এবং গাজরের রস তৈরি করে পান করলে দ্রুত উপশম পেতে পারেন। শুধু তাই নয়, এই রস শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা নিরাময় করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। গাজরে বিটা-ক্যারোটিন এবং ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
ধনেপাতার জল..
রাতে ঘুমানোর আগে কিছু ধনেপাতা ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে শুধু জল পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই বীজগুলিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলি লিপিড বিপাকে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।