কম সময়ের মধ্যে চটজলদি খাবার তৈরি করাটা অনেকটা ঝক্কির। তাই সকালের খাবারে বেশিরভাগ মানুষই হোয়াইট ব্রেড খাওয়াটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কি নিয়মিত এই পাউরুটি শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকারক।
কর্মব্যস্ততার কারণে ব্রেকফাস্ট করাটাই যেন সবচেয়ে ঝক্কির বিষয়। আসলে কম সময়ের মধ্যে সকালের খাবার খাওয়ার সময়টাই থাকে না। কারণ কম সময়ের মধ্যে চটজলদি খাবার তৈরি করাটা অনেকটা ঝক্কির। তাই সকালের খাবারে বেশিরভাগ মানুষই হোয়াইট ব্রেড খাওয়াটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কি নিয়মিত এই পাউরুটি শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকারক। পাউরুটির মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত পটাসিয়াম ব্রোমেট, পটাসিয়াম আয়োডেট রয়েছে, যা শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। সুস্বাদু সাদা পাউরুটি অজান্তেই শরীরের কতটা ক্ষতি ডেকে আনছে তা জানলে আজ থেকে ব্রেকফাস্টের তালিকা থেকে বাদ দেবেন লোভনীয় পাউরুটি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই সাদা পাউরুটি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকরই নয়, অস্বাস্থ্যকরও বটে।
পাউরুটির সঙ্গে যেন বাঙালির একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে, ওয়ার্কিং লেডিদের জন্য পাউরুটি যেন সকালের খাবারের হিরো। তবে সকালবেলার ব্রেকফাস্ট মানেই পাউরুটি এই বিষয়টির সঙ্গে বাঙালি অভ্যস্ত থাকলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ব্রেকফাস্ট মানেই বাটার টোস্ট, স্যান্ডউইচ, ফ্রেঞ্চ টোস্ট , এছাড়াও পাউরুটির হরেক রকমের টেস্টি পদ তাড়াতাড়ি করে খেয়ে অফিস চলে যাওয়াটা যেন নিত্যদিনের ঘটনা। তবে খেতে ভাল লাগলে তা শরীরের জন্য ডেকে আনছে চরম ক্ষতি।
পাউরুটি দিয়ে যেহেতু নানারকমের খাবার বানানো যায়, এবং যা খেতেও খুব সময় লাগে না সেই জন্য কম বেশি সকলেই যেন এই পাউরুটিকেই ভরসা করেন। তবে জানেন কি, এখনই যদি পাউরুটি খাওয়া বন্ধ না করেন তাহলে শরীরের চরম সর্বনাশ ডেকে আনবেন নিজেই। সাদা পাউরুটির মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত পটাসিয়াম ব্রোমেট, পটাসিয়াম আয়োডেট রয়েছে, যা শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। সুস্বাদু পাউরুটি অজান্তেই শরীরে চরম বিপদ ডেকে আনছে । পাউরুটি তৈরির সময় অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান বাদ চলে যায়। আটার নিজস্ব গন্ধ রয়েছে এবং সেটি থাকলে পাউরুটি একদমই সুস্বাদু হবে না। সেই গন্ধ না থাকার জন্য বিভিন্ন ফ্লেভার যোগ করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সাদা পাউরুটিকে ব্লিচ করা হয়, যা শরীরে চরম ক্ষতি ডেকে আনে। যে সমস্ত শস্য দিয়ে পাউরুটি তৈরি করা হয়, তাতে অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।প্রতিদিন পাউরুটে খেলে শরীরে জমা হতে পারে কার্বন ডাই অক্সাইড ও ব্রোমাইন জাতীয় বিষাক্ত যৌগ। এর থেকেই হতে পারে জটিল রোগ। পাউরুটিতে অনেক বেশি পরিমাণে লবণ এবং সোডিয়াম থাকায় শরীরের প্রচুর ক্ষতি করে এবং পাউরুটিতে রিফাইন্ড চিনি থাকায় তড়তড় করে ওজন বাড়ে। গবেষণা বলছে, প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১ জন এই পাউরুটি খেয়ে সিলিয়াক ডিজিজ নামে একটি ভয়ঙ্কর অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হন।