
Pets for mental health: আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় ঘুমের ঘাটতি ও মানসিক চাপ আমাদের নিত্যসঙ্গী। অফিসের কাজ, ঘরের দায়িত্ব এবং সামাজিক জীবনের টানাপোড়েনের মাঝে নিজের জন্য একটু শান্তি খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। তার ওপর স্মার্টফোন আর ল্যাপটপ যেন ক্রমাগত গ্রাস করছে আমাদের। ফলে অনেকের ঠিক মতো ঘুম হয় না। যার জেরে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাঁদের বাড়িতে চারপেয়ে পোষ্য রয়েছে, তাঁদের জীবনে এই সমস্যা অনেকটাই কম। বাড়িতে পোষ্য থাকলে মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
স্ক্রিন টাইম কমে
পোষ্যদের উপস্থিতিতে ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানোর প্রবণতা অনেকটাই কমায় কারণ, কাজের শেষে বাড়ি ফিরেই সবাই চেষ্টা করেন পোষ্যর সঙ্গে সময় কাটাতে। মোবাইল বা স্ক্রিনে চোখ রাখার কথাই ভুলে যান।
ঘুমের গুণগত মান উন্নত হয়
গবেষণা বলছে, বিশেষজ্ঞদের দাবি, হাজার দুশ্চিন্তা নিমেষে গায়েব করে দিতে পারে পোষ্যরা। মন থাকে ফুরফুরে, ফলে মানসিক চাপ ও বিষন্নতা কমে। এদের সঙ্গে সময় কাটালে ঘুম হয় দারুণ। ফলে শরীরও থাকে চাঙ্গা।
সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়
চারপেয়োদের কারণে প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ে। পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে বেরোনোর সময় আশপাশের মানুষজন আলাপ জমায়, কথা বলে। এক ধরনের সামাজিক সংযোগ তৈরি করে, যা আজকের নাগরিক জীবনে ভীষণ জরুরি।
হাঁটার অভ্যাস গড়ে ওঠে
বেশিরভাগ পোষ্যের ক্ষেত্রে নিয়মিত হাঁটতে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। ফলে পরিবারের সদস্যরাও বাধ্য হন নিয়মিত হাঁটার জন্য বেরোতে। অলসতা ছাড়িয়ে গিয়ে একধরনের স্বাস্থ্যকর রুটিন গড়ে ওঠে, যা শরীরের পক্ষেও দারুণ উপকারী।
বিড়াল সাধারণত বাড়ির মধ্যেই থাকে। বিড়াল নিয়ে হাঁটতে যেতে খুব বেশি দেখা যায় না। কুকুর পুষলে সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। কারণ, কুকুর নিয়ে সবাই বাড়ির বাইরে হাঁটতে বেরোন। তাই কুকুর পোষাই ভালো।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।