
এই সময়ে জলের ট্যাঙ্ক ছাড়া বাড়ি খুবই কম। প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদেই একটি সাদা বা কালো জলের ট্যাঙ্ক দেখা যায়। আগেকার দিনে সিমেন্ট দিয়ে জলের ট্যাঙ্ক তৈরি করা হত। এখন প্লাস্টিকের ট্যাঙ্ক বেশি প্রচলিত। এই দুটিরই কিছু সুবিধা-অসুবিধা আছে। কোনটি বাড়িতে রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা এই পোস্টে জানুন।
সাধারণত কংক্রিটের ট্যাঙ্ক দীর্ঘস্থায়ী এবং কোনো ক্ষতি ছাড়াই থাকে। প্রচণ্ড তাপমাত্রাও সহ্য করতে পারে। প্লাস্টিকের ট্যাঙ্ক তেমন নয়। কিছুটা হালকা। তবে এটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খুব বেশি ঝামেলা করতে হয় না। কম খরচে ট্যাঙ্ক বানাতে চাইলে প্লাস্টিকের ট্যাঙ্কই ভালো। তবে কোনটি সেরা, তা জানতে হলে তাদের সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ করতে হবে, তাই না? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
সিমেন্টের ট্যাঙ্ক:
সিমেন্টের ট্যাঙ্ক মজবুতভাবে তৈরি করা হয়। অনেক দিন ব্যবহার করা যায়। রোদ-বৃষ্টিতে কোনো ক্ষতি হয় না। তাপমাত্রা স্থির রাখতে সাহায্য করে। গরমকালে ঠান্ডা এবং শীতকালে গরম পানি রাখতে সাহায্য করে। এই জলের ট্যাঙ্কের ধারণক্ষমতা বেশি। শিল্প ও কৃষিকাজের জন্য উপযুক্ত। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তবে সিমেন্টের ট্যাঙ্কের কিছু অসুবিধাও আছে। ফাটল ধরার সম্ভাবনা থাকে। স্থানান্তর করা যায় না। কিন্তু প্লাস্টিকের ট্যাঙ্ক সরানো যায়। এগুলি হালকা ওজনের।
প্লাস্টিকের ট্যাঙ্ক:
এটি যেকোনো জায়গায় বহনযোগ্য হালকা ট্যাঙ্ক। কম খরচে বসানো যায়। ফাটল ধরে না। মরিচা পড়ে না। প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন আকারে কেনা যায়। তবে এর কিছু অসুবিধাও আছে। এই ট্যাঙ্কে অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। সিমেন্টের ট্যাঙ্কের মতো এটি তাপমাত্রা স্থির রাখতে পারে না। সিমেন্টের ট্যাঙ্কের তুলনায় এর আয়ুষ্কাল কম।
কোন জলের ট্যাঙ্ক ভালো?
প্রতিটি ট্যাঙ্কের নিজস্ব সুবিধা-অসুবিধা আছে। প্রয়োজন এবং আপনার বাজেট অনুযায়ী ট্যাঙ্ক বেছে নিতে পারেন। উপরের বিষয়গুলি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।