
গরম বাজার ছেয়ে রয়েছে সবুজ কাঁচা আম। শুধু চাটনি, আচার বা টক হিসেবে কাঁচা আম শুধু মুখরোচকই নয়, পুষ্টি গুণেও ভরপুর। কাঁচা আমের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A, C, এবং E, যা শরীরে কোলাজেন উৎপাদন করে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। চিকিৎসকরা বলছেন, কাঁচা আম শরীর ঠান্ডা রাখতে, হিট স্ট্রোক রোধ করতেও যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।
১. হিট স্ট্রোক রোধে উপকারী:
গরমকালে অতিরিক্ত ঘাম ও জলশূন্যতায় শরীর থেকে লবণ ও আয়রন বেরিয়ে যায়, ফলে অনেক সময় হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। কাঁচা আম শরীরে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, ফলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে।
‘আমপান্না’ খেতে পারেন বাড়িতে বানিয়ে। কাঁচা আম সেদ্ধ করে খেজুরগুড় বা নুন মিশিয়ে খাওয়া যায়, এটি খুব কার্যকর একটি ঘরোয়া প্রতিকার।
২. হজমে সহায়ক:
কাঁচা আমে থাকা এনজাইম ও ফাইবার হজমের সমস্যা দূর করে এবং পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। পিত্তরস নিঃসরণ বাড়িয়ে বিপাক ক্রিয়ার হার বাড়ায়। গরমকালে বদহজম বা গ্যাসের সমস্যা হলে সামান্য নুন দিয়ে কাঁচা আম খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
কাঁচা আমে আছে ভিটামিন C, যা শরীরে সাদা রক্তকণিকা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করে। এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও, যা সংক্রমণ জাতীয় অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে।
৪. লিভার ডিটক্সে সাহায্য করে:
চিকিৎসকদের মতে, কাঁচা আম খেলে লিভারে পিত্তরসের উৎপাদন বৃদ্ধি করে শরীর থেকে টক্সিন বের করতে, ও লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক ও হজমশক্তি উভয়ই উন্নত হয়।
৫. দাঁতের সমস্যা ও মুখের দুর্গন্ধে উপকারী:
কাঁচা আমে থাকা ট্যানিন মুখের জীবাণু দূর করে দাঁত ও মাড়ির যত্নে সহায়তা করে। এটি মুখের দুর্গন্ধ কমাতেও কার্যকর।
৬. চুল ও ত্বক ভালো রাখে :
কাঁচা আমের থাকা ভিটামিন C ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের জন্য ভালো। মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ব্রণর সমস্যা কম করে, করে চুল গোড়া থেকে মজবুত করে চুল ভালো রাখে। ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে মুখে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।