
Health Tips: বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার এবং ধূলিকণার আক্রমণে প্রথম আক্রান্ত হয় ফুসফুস। কারণ, নাক দিয়ে অক্সিজেন নেওয়ার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে যাবতীয় অশুদ্ধি সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে যায়। তার পর তা মিশে যায় রক্তের সঙ্গে। সেখান থেকেই নানা সংক্রমণ, অ্যাজমা, সিওপিডি-র মতো যাবতীয় রোগের শুরু হয়।
তবে চিকিৎসকদের মতে, সাধারণ কিছু জিনিস প্রতিদিন করতে পারলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।তবে ৪০-এর দোরগোড়ায় পৌঁছালেই ফুসফুসের ক্ষমতা ও স্থিতিস্থাপকতা কমতে শুরু করে। তখন পরিবেশ এবং লাইফস্টাইলে পরিবর্তনের প্রকোপ পড়ে শরীরের এই অঙ্গটির উপর।
৪০ ঊর্ধ ফুসফুস কে সতেজ ও সুস্থ রাখতে নিয়মিতভাবে কিছু কাজ করা জরুরি। যেমন ধূমপান ছাড়তে হবে এবং তামাক জাতীয় দ্রব্য সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে। দা ইন্ডিয়ান লাঙ্ক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, যেকোনো বয়সে ধূমপান ছাড়লে ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নতি হয়। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে এবং ফুসফুসের পক্ষে অতীবও ক্ষতিকারক। তাই যেভাবেই সম্ভব ধূমপান বর্জন করা উচিত। তবে মাথায় রাখতে হবে সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং একদমই বর্জনীয়। অন্যদিকে নিয়মিত যদি কিছু এক্সারসাইজ করা যায় তাতে ফুসফুসের পেশী খুবই দৃঢ় হবে এবং সে ক্ষেত্রে অক্সিজেন সরবরাহ খুবই ভালো হবে।
শারীরিক কসরত বলতে সাইকেল চালানো যেতে পারে, যোগব্যায়াম বা সাঁতার কাটা ৪০ ঊর্ধ্ব মানুষের পক্ষে খুবই উপকারী। এছাড়া যদি নিয়মিত প্রাণায়াম করা যায় তাহলে সেটিও ফুসফুসের আয়ু বাড়াতে পারে। তাই নিয়মিত যদি ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট ব্যায়াম করা যায় এবং সঙ্গে যদি পাঁচ থেকে দশ মিনিট ব্রিথিং প্র্যাকটিস করা যায় তাহলে সেক্ষেত্রে ফুসফুসের সমস্যা থেকে বিরত থাকবে। সাথে শরীর যাতে হাইড্রেটের থাকে সেক্ষেত্রে ফুসফুসের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। সঠিক হাইড্রেশন ফুসফুসের প্রকোষ্ঠের মিউকাসের পর্দা পাতলা রাখতে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকা পুষ্টি সমৃদ্ধ ডায়েট ফুসফুসের পক্ষে খুবই উপযোগী। তাই অবশ্যই প্রতিদিন নিজের খাদ্য তালিকায় কমলালেবু, ব্রকলি, পেয়ারা, পালং শাক ও বাদামের মত খাবার গুলি রাখতে পারেন।
জল খেলে শরীরের অর্ধেক রোগই সেরে যায়। বুকে জমা সর্দি বা কফ পাতলা করতেও সাহায্য করে জল। এ ছাড়াও শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ থেকে দূষিত পদার্থ বাইরে বার করার ক্ষেত্রে জলের ভূমিকা রয়েছে। বাইরে দূষণ চোখে দেখা গেলেও ঘরের মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ধূলিকণাও কিন্তু আমাদের ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে যে সব বাড়িতে পোষ্য থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার রাখা, ভ্যাকিউম করার পাশাপাশি, এসি এবং ঘর পরিষ্কার যন্ত্র বা বাতাস পরিশোধন করার যন্ত্রগুলির দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।