
পুজো বছরে একবারই আসে। এই পাঁচটা দিন পুজোয় আমরা হৈ হুল্লোড় খাওয়া-দাওয়া বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে সারারাত্রি ঠাকুর দেখা সবকিছুই করি। কিন্তু এই সব কিছুর আড়ালে কোথাও ভুলে যাচ্ছেন না তো আপনার বাড়ির প্রবীণ সদস্যরা একা নেই তো?
পুজোর সময় বাড়ির প্রবীণ সদস্যেরা যেন একাকিত্বে না ভোগেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানো, তাঁদের পছন্দের জিনিস করা, তাঁদের কথা মন দিয়ে শোনা এবং তাঁদের সামাজিক ভাবে সংযুক্ত রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে তাঁরাও পুজোর আনন্দ অনুভব করতে পারবেন এবং একাকিত্বের অনুভূতি কমবে।
প্রবীণদের একাকিত্ব দূর করার উপায়:
* তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান: পুজোর ব্যস্ততার মাঝেও পরিবারের বয়স্কদের জন্য সময় বের করুন। তাঁদের সঙ্গে গল্প করুন, তাঁদের অতীতের কথা শুনুন বা তাঁদের পছন্দের কোনো কাজ একসঙ্গে করুন।
* তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দিন: বাড়ির অন্যান্য কাজের পাশাপাশি, কোনো কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁদের মতামত জানুন। এতে তাঁরা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন।
* তাঁদের সামাজিক ভাবে সংযুক্ত রাখুন: সম্ভব হলে তাঁদের পছন্দের আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে দিন। এতে তাঁদের মন ভালো থাকবে।
* তাঁদের পছন্দের খাবার ও বিনোদনের ব্যবস্থা করুন: পুজোর সময় পছন্দের খাবার বা নতুন পোশাকের পাশাপাশি তাঁদের পছন্দের বই পড়া, গান শোনা বা পুরনো সিনেমা দেখার সুযোগ করে দিন।
* তাঁদের সুস্থতা ও আরামের দিকে খেয়াল রাখুন: পুজোর ভিড়ে তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। তাঁদের জন্য উপযুক্ত পোশাক ও আরামদায়ক পরিবেশের ব্যবস্থা করুন, যাতে তাঁরা অসুস্থ না হয়ে পড়েন।
* তাঁদের প্রতি যত্নশীল হন: তাঁদের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণ করুন। তাঁদের সামান্যতম খেয়াল রাখলে তাঁরাও পুজোর আনন্দে সমানভাবে সামিল হতে পারবেন।