কফি-কাপে চুমুক দিয়ে পুড়িয়ে ফেলুন অতিরিক্ত মেদ। এখানে এমন পাঁচটি কফি যুক্ত পাণীয়র সন্ধান রইল যা আপনার মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে।
বর্তমানে অতিরিক্ত ওজন একটা বড় সমস্যা হয় দাঁড়িয়েছে। অনেকেই ওবিসিটির সমস্যায় ভুগছেন। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে কঠোর পরিশ্রমও করেছেন। শরীরচর্চার পাশাপাশি ডায়েটেও মন দিয়েছেন। কিন্ত এবার ওজন কমানোর জন্য নতুন টিপস দিচ্ছি। কফি কাপে চুমুক দিয়েও পুড়়িয়ে ফেলতে পারেন আপনার চর্বি। এখানে এমন পাঁচটি কফি যুক্ত পাণীয়র সন্ধান রইল যা আপনার মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে।
ব্ল্যাক কফিঃ
ওজন কমানোর জন্য সবথেকে সহজ ও সবচেয়ে বেশি কার্যকর হল ব্ল্যাক কফি। ব্ল্যাক কফিতে ক্যালরি অনেক কম। ক্যাফেইন বেশি যা হজম কমাতে সাহায্য করে। চর্বি পোড়ায়। ক্যাফেইন স্নায়ু তন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। চর্বির কোষগুলি ভেঙে দেয়।
দারুচিনি কফিঃ
দারুচিনি একটি মশলা যা সংবেদনশীলতা উন্নত করতে ব্যবহার করা হয়। যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। চিনি যুক্ত খাবারে লোভ কমাতে সাহায্য করে। কফির সঙ্গে মিশিয়ে নিন দারুচিনি। এটি স্বুস্বাদু ও সুগন্ধ যুক্ত পানীয় যা আপনার চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
নারকেল তেলঃ
নারকেল তেল একটি স্বাস্থ্যকর পদার্থ যা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমায়। কফিতে যোগ করতেই পারেন। নারকেল তেলে ক্যাফেইন ও স্বাস্থ্যকর চর্বিগুলির সংমিশ্রন আরও ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করবে। ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করবে।
গ্রিন কফিঃ
গ্রিন কফি অর্থাৎ ভেষজ কফি। কফির বীজ থেকে এবং এতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড বেশি থাকে, যা চর্বি-পোড়ার বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে। সবুজ কফি কার্বোহাইড্রেটের শোষণ কমাতে এবং চর্বি বিপাক বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতেও সাহায্য করতে পারে।
বুলেটপ্রুফ কফিঃ
এটি জনপ্রিয় কফি। এতে গ্রাস ফিড মাখন, এমসিটি তেল থাকে। গ্রাস ফিড বাটার ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। তাই ওজন বাড়তে দেয় না এই কফি যদি নিয়মিত খাওয়া হয়। এই কফি মানসিক স্বাস্থ্যে ফোকাস করতে সাহায্য করে। কেটোদেনিক ডায়েকে যারা অভ্যস্ত তারা এটি নিয়মিত পান করেন।
মনে রাখতে হবে এই পানীয়গুলি কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে পান করা ঠিক নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ও পরিমিত পান করাই শ্রেয়। নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।