কখনও কি ভেবে দেখেছেন আমরা যদি সারাদিন অভুক্ত থাকি অর্থাৎ সারাদিন কিছু না খেয়ে উপোস থাকি তাহলে শরীর কোথা থেকে শক্তি পাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক.
শরীর সঠিকভাবে কাজ করার জন্য, শক্তির প্রয়োজন। শরীরের শক্তির প্রধান উৎস হল আমাদের খাদ্য। তাই সবাইকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনার খাদ্য যত বেশি পুষ্টিকর হবে, শরীর তত বেশি এনার্জেটিক হবে। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন আমরা যদি সারাদিন অভুক্ত থাকি অর্থাৎ সারাদিন কিছু না খেয়ে উপোস থাকি তাহলে শরীর কোথা থেকে শক্তি পাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক.
অনেক দিন না খেয়ে থাকতে পারেন
ডায়েট বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে অনেক ধরণের ডায়েট প্ল্যান রয়েছে, যার মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে কোনও খাবার নেই। বিরতিহীন উপবাসে, দীর্ঘ সময় ধরে উপবাসও রাখা হয়। তবে, এটি সবার জন্য উপকারী নয়। খাবার না খেলেও শরীরে শক্তির প্রয়োজন হয়। এর জন্য অনেকে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন, যার অনেক অসুবিধা হতে পারে।
না খেলে কি হবে
খাবার খাওয়ার পর হজম প্রক্রিয়া শুরু হয়। পাকস্থলীতে থাকা খাবার হজম করতে কয়েক ঘণ্টা কাজ করে শরীর। এর থেকে তৈরি গ্লুকোজকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু যখন প্রায় ৮ ঘন্টা কিছুই খাওয়া হয় না, তখন শরীর শক্তির জন্য সঞ্চিত চর্বি ব্যবহার করতে শুরু করে এবং এই প্রক্রিয়াটি আপনি পরবর্তী সময়ে খাওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে।
শরীরের চর্বি ব্যবহার কতটা ক্ষতিকর
খাবার খাওয়ার পর যখন শক্তি পাওয়া যায়, তখন এতে পুষ্টি বিপাক হয়। শরীর যখন শক্তির পরিবর্তে চর্বি ব্যবহার করে, যাকে কিটোসিস বলে, দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি দেখা যায়। চর্বি পোড়ানো অবস্থায় শরীর কিছুটা শক্তি পায় কিন্তু প্রয়োজনীয় উপাদান পাওয়া যায় না। যার কারণে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা শুরু হয়। সপ্তাহে দুই বা তার বেশি বার ক্ষুধার্ত থাকলে হার্টবিট খারাপ হয়ে যায় এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
এই ধরনের লোকদের থেকে সাবধান
টাইপ-১ বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী
গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলারা
১৮ বছরের কম বয়সী মানুষ
সম্প্রতি কোনও অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে এই ডায়েট ভুলেও নয়