
কোকাম একটি টক ফল, যা মেদ কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমানোর কথা উঠলে নানা দামি পানীয় বা জটিল রেসিপির দিকে ছোটেন অনেকে। অথচ দেশি রান্নাঘরেই আছে এমন এক টক, গাঢ় রঙের ফল, যা হজমক্ষমতা বাড়ায়, অতিরিক্ত খিদে কমায় এবং পেটের মেদ ঝরায়। সেই ফল ভেজানো জল এখন স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয় পানীয় হয়ে উঠেছে। যদিও বাংলার হেঁশেলে এখনও জনপ্রিয় হয়নি কোকাম। ফলটি মূলত ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালা ধরে, অর্থাৎ মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক এবং কেরলের মতো রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে জন্মায়।
এটি হজমশক্তি বাড়ায়, অতিরিক্ত খিদে কমায় এবং পেটের মেদ কমাতে সহায়ক। এটিতে থাকা উপাদানগুলি শরীরে মেদ তৈরি হতে বাধা দিতে পারে। এই ফলটি জলে ভিজিয়ে খেলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে সাহায্য করতে পারে।
১) হজমশক্তি বাড়ায়: কোকাম হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, যা শরীরের অতিরিক্ত মেদ জমতে বাধা দেয়।
২) ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ: এটি অতিরিক্ত খিদে কমিয়ে দেয়, ফলে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
৩) মেদ কমাতে সহায়ক: পেটের মেদ কমাতেও এটি সহায়ক হতে পারে।
৪) ওজন কমাতে সাহায্য করে: কোকাম জল মেটাবলিজম (বিপাক) বাড়াতে সাহায্য করে, যা ওজন কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১) কোকাম ভেজানো জল: কয়েকটা কোকাম একটি পাত্রে নিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন। এটি সারারাত বা কয়েক ঘণ্টা ধরে ভিজিয়ে রাখুন।
পানীয় হিসেবে: এবার এই কোকামের জল পান করুন। এটি একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
অন্যান্য ব্যবহার: এছাড়া কোকাম তরকারি, চাটনি বা শরবত তৈরিতেও ব্যবহার করা যায়।
৪-৫টি টুকরো শুকনো কোকাম হালকা গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট রাখলেই কোকাম তার রং, স্বাদ আর গুণাগুণ জলে ছাড়তে শুরু করে। জল ছেঁকে নিয়ে হলে সরাসরি খেয়ে ফেলতে পারেন। চাইলে সামান্য বিটনুন, গোটা জিরে এবং পুদিনাপাতা মিশিয়ে স্বাদবৃদ্ধি করতে পারেন। খাওয়ার আগে এক গ্লাস কোকাম ভেজানো জল অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখবে।
কোকামের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুমও ওজন কমানোর জন্য জরুরি।
কোনো নতুন ডায়েট শুরু করার আগে অবশ্যই একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের পরামর্শ নিন।