
World Allergy day 2025: সাধারণত অ্যালার্জির সমস্যাকে ছোটখাটো সমস্যা হিসেবে ধরা হয়। অ্যালার্জির লক্ষণ কিছু সময় পর আপনাআপনিই চলে যায়। অ্যালার্জেন (অ্যালার্জির কারণ) আবার ফিরে এলে অ্যালার্জির লক্ষণ আবার দেখা দেয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে কিছু অ্যালার্জি এমনও আছে যা একজন ব্যক্তির জীবন কেড়ে নিতে পারে। হ্যাঁ! বিশ্ব অ্যালার্জি দিবস (World Allergy day 2025) উপলক্ষে আজ আমরা আপনাদের এমন অ্যালার্জি সম্পর্কে বলব যার কারণে একজন ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে। আসুন জেনে নেই কোন কোন অ্যালার্জি প্রাণঘাতী হতে পারে এবং কীভাবে এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে রক্ষা করা যায়।
গুরুতর অ্যানাফাইল্যাক্সিস অ্যালার্জি (Anaphylaxis Allergy)
অ্যানাফাইল্যাক্সিস অ্যালার্জি এমন এক অ্যালার্জি যার যদি একজন ব্যক্তি তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পান তাহলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হতে পারে। অ্যানাফাইল্যাক্সিস অ্যালার্জি হলে ব্যক্তির শ্বাস নিতে সমস্যা হয় এবং রক্তচাপ অনেক কমে যায়। ব্যক্তির হৃদস্পন্দনও প্রভাবিত হয় এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। যদি ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না দেওয়া হয় তাহলে শ্বাসও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অ্যানাফাইল্যাক্সিস একটি অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া যা দ্রুত শুরু হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে প্রভাবিত করে। অ্যানাফাইল্যাক্সিস অ্যালার্জি হলে ব্যক্তির ত্বকে লাল ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং বমিও হতে পারে। শ্বাস নিতে অসুবিধা, হাঁচি বা শ্বাসরোধের মতো অনুভূতি হতে পারে। এই অ্যালার্জিকে ট্রিগার করতে পারে কোন খাবার, পোকামাকড়ের কামড় বা কোনও ওষুধ। এর কারণে ব্যক্তির মধ্যে অ্যালার্জির লক্ষণ দ্রুত দেখা দেয়। আসুন জেনে নেই যদি কোনও ব্যক্তির মধ্যে অ্যানাফাইল্যাক্সিস অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে কী চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অ্যানাফাইল্যাক্সিস অ্যালার্জির চিকিৎসা কী? (Anaphylaxis Allergy treatment)
অ্যালার্জি হলে ব্যক্তির তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন। ডাক্তার অ্যালার্জির চিকিৎসার জন্য এপিনেফ্রিন (অ্যাড্রেনালিন) দেন। ওষুধ সেবন করলে রোগের লক্ষণগুলি তাৎক্ষণিকভাবে কমতে শুরু করে। যদি ব্যক্তির কাছে এই ওষুধ থাকে তাহলে তাকে অবিলম্বে তা খেয়ে নিতে হবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারকে ফোন করতে হবে। যদি সঠিক সময়ে ওষুধ পাওয়া যায় তাহলে ব্যক্তির ভয় পাওয়ার দরকার নেই। ওষুধ না থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।