মৃগী আক্রান্ত রোগীকে সাহায্য করুন, জেনে নিন এর প্রাথমিক প্রতিকারগুলি

  • বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব এপিলেপসি বা মৃগী দিবস
  • এই রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এই দিবস পালন করা হয়
  • জিনগত সমস্যা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়
  • এটি এক প্রকার মস্তিষ্কের রোগ

deblina dey | Published : Nov 17, 2019 10:13 AM IST / Updated: Nov 21 2019, 09:48 AM IST

১৭ নভেম্বর সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় বিশ্ব এপিলেপসি বা মৃগী দিবস। এই রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পালন করা হয় বিশেষ এই দিন। মনে রাখবেন মৃগী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের প্রতিকার আক্রান্ত অবস্থায় নিজে করতে পারেন না। এই সময় তাঁর পাশে যিনি থাকবেন তিনিই পারেন এদের সাহায্য করে বাঁচিয়ে তুলতে।  এটি সাধারণত নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়ুবিক রোগ যাতে খিঁচুনি হয়। পথ চলতি কোনও ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে সাহায্য করতে পারবেন আপনিও। আপনার সাহায্যেই তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারেন। জেনে নিন এই রোগের প্রাথমিক প্রতিকারগুলি।

আরও পড়ুন- বিশ্ব এপিলেপসি দিবস, জেনে রাখুন এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি

মৃগী আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির খিঁচুনি হওয়ার পর যখন জ্ঞান ফিরে আসে, তখন রোগীর কিছু সময়ের জন্য মানসিক বিভ্রম দেখা দেয়। এই সময় রোগীর পাশেই থাকুন, তাকে আশ্বস্ত করুন। 

আক্রান্ত ব্যক্তি পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় না আসা অবধি রোগীকে ছেড়ে যাবেন না। প্রকৃতপক্ষে, খিঁচুনী চলাকালীন সময়ে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা এবং সাধারণ জ্ঞানের প্রয়োগ ছাড়া তেমন কিছু করার থাকে না। 

কাউকে খিঁচুনীতে আক্রান্ত হতে দেখলে, অহেতুক আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না। কারণ, অধিকাংশ খিঁচুনীই মৃত্যু ঝুঁকিপূর্ণ নয়।

আরও পড়ুন- বিশ্ব সহিষ্ণুতা দিবস, এই সহজ উপায়েই বাড়বে আপনার ধৈর্যশক্তি

বিপদের আশঙ্কা রয়েছে এমন জিনিস যেমন আগুন, জল, ধারালো বস্তু, আসবাবপত্র রোগীর নিকট থেকে সরিয়ে ফেলুন। খিঁচুনী-আক্রান্ত অবস্থায় রোগীকে সরানোর চেষ্টা করবেন না।

রোগী দাঁড়ানো বা চেয়ারে বসা অবস্থায় খিঁচুনীতে আক্রান্ত হলে তাকে আলতো করে ধরে মেঝেতে শুইয়ে দিন অথবা এমন ব্যবস্থা রাখুন, যাতে রোগী পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত না পায়। 

রোগীর মাথার নিচে বালিশ বা নরম কোনও কাপড়  জাতীয় কিছু দিন। খিঁচুনী স্বাভাবিকভাবে শেষ হতে দিন। এই সময় আক্রান্তকে চেপে ধরবেন না।

রোগীর মুখে জোর করে আঙুল বা অন্য কিছু ঢোকানোর চেষ্টা করবেন না। রোগীর জিহ্বায় দাঁত দিয়ে কামড় লাগলেও খিঁচুনী থাকা অবস্থায় তা ছাড়ানোর জন্য জোর করা উচিত নয়।

খিঁচুনী শেষ হলে রোগীকে এক পাশে কাত করে শুইয়ে দিন। আক্রান্তের পোশাক হালকা করে দিন। রোগীর আশেপাশে বেশি ভীড় জমতে দেবেন না।

খিঁচুনী যদি ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, কিংবা রোগীর একবার খিঁচুনীর পর জ্ঞান ফেরার আগেই দ্বিতীয় খিঁচুনী চলে আসে তা হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতাল অথবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।

খিঁচুনী শেষ হলে রোগীর নাড়ীর স্পন্দন অনুভব করুন, রোগী ঠিক মতো শ্বাস নিতে পারছে কি না সেদিকে নজর রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত হয় এমন কোনও কিছু মুখে বা নাকে থাকলে তা সরিয়ে দিন।

এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই আপনার সাহায্যে একটি প্রাণ বাঁচতে পারবে। নিজে জানুন এবং অন্যকেও জানার জন্য সাহায্য করুন। 

Share this article
click me!