সংক্ষিপ্ত

  • বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব এপিলেপসি বা মৃগী দিবস
  • এই রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এই দিবস পালন করা হয়
  • জিনগত সমস্যা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়
  • এটি এক প্রকার মস্তিষ্কের রোগ

আজ সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব এপিলেপসি বা মৃগী দিবস। ১৭ নভেম্বর সারা বিশ্ব জুড়ে এই রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এই দিবস পালন করা হয়। এটি সাধারণত নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়ুবিক রোগ যাতে খিঁচুনি হয়। এই রোগের প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও মস্তিষ্কে আঘাত,স্ট্রোক, মস্তিষ্কে টিউমার বা সংক্রমণ, জন্মগত ত্রুটি প্রভৃতিকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। জিনগত সমস্যা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। 

আরও পড়ুন- বিশ্ব সহিষ্ণুতা দিবস, এই সহজ উপায়েই বাড়বে আপনার ধৈর্যশক্তি

মস্তিষ্কের সেরেব্রাল কর্টেক্সের স্নায়ুকোষগুলির অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক ক্রিয়ার ফলে খিঁচুনি হয়। এর ফলে স্নায়বিক কারণে হঠাৎ খিচুনি বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি এক প্রকার মস্তিষ্কের রোগ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় "নিউরোলোজিক্যাল ডিজিজ"। মস্তিষ্কের কার্যপ্রণালীতে বাধা সৃষ্টি হলে এই এপিলেপসি বা মৃগী রোগ দেখা দেয়। 

আরও পড়ুন- ডায়াবেটিসকে বশে রাখতে চান, তবে অবশ্যই পাতে রাখুন এগুলি

যারা বহুদিন ধরে এই সমস্যায় ভুগছেন তাদের মানসিকতায় কিছু মৌলিক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, মৃগী রোগীদের ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে এ রকমের স্থায়ী কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি, নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা, বিষণ্ণভাব, আবেগের পরিবর্তন, আত্মহত্যার প্রবণতা, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদির সম্ভাবনা বেশি থাকে।