ডায়াবেটিস এমনই এক রোগ, যার কবলে একবার পড়লে আর বেরনোর কোনও সুযোগ থাকে না। ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিও খারাপ করে দিতে থাকে ডায়াবেটিস। অনেকের ধারণা বেশি মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়। এটি পুরোপুরি ঠিক নয়। ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করতে হয় ঠিকই। কিন্তু ডায়াবেটিস হওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ থাকে। তাই আগে থেকে ডায়াবেটিস রুখতে সাবধান থাকুন।
জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকবেন-
১) ডায়াবেটিস এড়াতে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন কায়িক পরিশ্রম। শরীরের পেশীকে শক্ত ও সচল রাখলে ডায়াবেটিসকে অনেকটাই আটকানো যায়। তাই নিয়ম করে শরীরচর্চা করুন।
২) ওজন বা মেদ বেড়ে গেলে শরীরের ইনসুনিল সঠিক ভাবে ব্লাড সুগার লেভেলের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারে না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের রাখুন।
আরও পড়ুনঃ ইনসুলিনে কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে! ডায়াবেটিসের রোগীরা জেনে সাবধান হোন
৩) হাইড্রোজেনেটেড তেলে ট্রাল্স ফ্যাট থাকে। এটি ব্লাড সুগার লেভেল, কোলেস্টেরল, ও হার্টের অসুখ বাড়িয়ে দিতে পারেষ তাই এই ধরনের তেলের থেকে দূরে থাকুন।
৪) হোয়াইট রাইসে প্রচুর পরিমাণে কার্বহাইড্রেট থাকে। ডায়াবেটিস এড়াতে কম খান সাদা ভাত। প্রসেসড ও ফ্রাইড খাবার বাদ দিন।
৫) ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে ব্লা়ড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে পারবেন তা হলে।
৬) ডায়াবেটিসের কবলে পড়তে না চাইলে ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে ফল ও সবজি রাখুন। এতে প্রচুর ফাইবার থাকে। তবে অতিরিক্ত চিনি যুক্ত বাজারি ফ্রুট জুস খাবেন না।
৭) ধূমপান শুধু ফুসফুস ও হার্টের জন্যই খারাপ নয়। অতিরিক্ত ধূমপান করলে ডায়াবেটিসের কবলেও পড়তে হতে পারে।
৮) একটি গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, দিনে ৩৪ বারের বেশি চা বা কফি খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
৯) অনেকক্ষণ অন্তর অন্তর ভারী খাবার খাবেন না। বদলে অল্প সময় অন্তর হালকা খাবার খান।
১০) এছাড়াও প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। রক্তচাপ বেশি থাকলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
১১) বংশে যদি আগে কারও ডায়াবেটিস হয়ে থাকে, তা হলে আগে থেকে সাবধান হোন। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা প্রয়োজন।