লকডাউনে সকলেই ঘরবন্দি। একাটানা ঘরে থাকতে থাকতে সকলেই মধ্যেই একেঘেয়েমি চলে এসেছে। একঘেয়েমি কাটাতে কী করবেন বুঝতে পারছেন না। ঘরের কাজ করার পর হাতে অল্প সময় নিয়েই সাজিয়ে তুলুন আপনার সখের ব্যালকনি। গো গ্রীন। এই কথাটার যেন বড্ডই অভাব এই কংক্রিটের দুনিয়ায়। ঘরের মধ্যেই সবুজ সৌন্দর্যে সাজিয়ে তুলুন আপনার অন্দরমহল। কিছু ইন্ডোর প্লান্ট দিয়েই সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার অন্দরমহল। এতে যেমন ঘরের শোভা বাড়বে তার পাশাপাশি শরীর ও মন দুটিই বোশ তরতাজা থাকবে।
যত দিন যাচ্ছে ফ্ল্যাটের চার দেওয়ালের মধ্যেই কেমন আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে এই জীবন। কিন্তু শান্তির নীড়ের খোঁজে বেশি কিছু করতে হবে না। ছোট্ট কোজি বারান্দাই যথেষ্ঠ এর জন্য। বারান্দার একটি কোণে বানাতে পারেন আপনার স্বাদের ছোট্ট বাগানটি। তার জন্য খুব বোশি পরিশ্রমেরও দরকার হয় না। দিনের বেলা হোক বা রাতের বেলা আধঘন্টাই যথেষ্ঠ। এতে মনটাই ভাল থাকবে। আর সময়টাও যে কীভাবে কেটে যাবে তা টেরও পাবেন না। ড্রয়িং রুমের মধ্যে একটি কর্ণার করে সুন্দর একটি কাচের জারের মধ্যে কিছু জলজ গাছও রাখতে পারেন। এখন বিভিন্ন রঙের জার বেরিয়ে গেছে। যা ঘরের সৌন্দর্যকে আলাদা মাত্রা দেব।
ব্যালকনিটা সবার আগে পরিস্কার করে নিন। তারপর আপনার নিজের পছন্দ মতো টব এনে তাতে ওয়াটার লেটুস, আমব্রেলা পাম, প্যারটস ফেদার, ওয়ান্ডারিং জু , মানিপ্লান্ট ইত্যাদি এই ধরনের গাছ লাগাতে পারেন।এছাড়া অ্যাকোয়াটিক প্লান্টের জনপ্রিয়তাও খুব বেড়েছে। যেমন ওয়াটার লেমন গ্রাস, নানা ধরনের শালুকও কিনতে পারেন। যে কোনও ভাল নার্সারিতে গেলেই এই গাছগুলি পেয়ে যাবেন। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে অল্প জিনিস দিয়েই অভিনব কায়দায় সাজিয়ে ফেলতে পারবেন আপনার সাধের ব্যালকনিটি। এছাড়া বেডরুমের মধ্যে একটি ল্যাভেন্ডার গাছ কিনে এনে ঘরের এক কোণায় বসিয়ে রাখুন। ল্যাভেন্ডারের মিষ্টি গন্ধে আপনি এমনিতেই ফ্রেশ এবং তরতাজা থাকবেন। মুহূর্তে ক্লান্তি দূর করতে ম্যাজিকের মতোন কাজ করে এই গাছ।