চুলে শ্যাম্পু করার পরে এই সমস্যায় অনেককেই পড়তে হয়। চুল আঁচড়েও কিছুতেই তাকে ঠিক ভাবে রাখা যায় না। মাথার বিভিন্ন দিক থেকে চুল উড়ে উশকো খুশকো হয়ে থাকে। কন্ডিশনার এই ফ্রিজি হেয়ার থেকে মুক্তি দিতে পারে। কিন্তু অনেক সময়েও কন্ডিশনারও কোনও কাজ দেয় না। সেক্ষেত্রে লিভ ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে কিনতে পাওয়া য়ায় লিভ-ইন কন্ডিশনার। কিন্তু তাতে থাকে নানা কেমিক্যাল। তাই ঘরেই বানিয়ে নিন লিভ-ইন কন্ডিশনার।
শ্যাম্পু করার পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলে গেলেও ব্যবহার করতে পারেন লিভ ইন কন্ডিশনার। শ্যাম্পু করার পরে চুল হালকা ভিজে অবস্থায় থাকতে থাকতে স্প্রে করে নিন।
ঠিক কী কী কারণে লিভ-ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন-
১) যাঁদের চুলে আর্দ্রতার পরিমাণ কম, তাঁরা ব্যবহার করুন। চুলে জেল্লা ধরে রাখতে এটি কার্যকরী।
২) অনেকের চুলে গিঁট ধরে যায়। ফলে চুল আঁচড়াতে গিয়ে খুব সমস্যা হয়। যে চুলে গিঁট ধরে যায়, তা নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। তাই অবশ্যই লিভ ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
৩) এছাড়া যাঁরা নিয়মিত হেয়ার কালার করেন, তাঁরা শ্য়াম্পু করার পরে অবশ্যই লিভ ন কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চুল ভাল থাকবে।
৪) চুলে যদি হিট ব্যবহার করেন, তা হলে অবশ্য়ই লিভ ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চুলের উপর সরাসরি হিটের প্রভাব পড়বে না।
৫) ধুলো বালি লেগে চুলের অবস্থা শোচনীয় হয়ে ওঠে। আবার সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিও চুলের ক্ষতি করে। লিভ ইন কন্ডিশনার এই সব থেকে চুলকে রক্ষা করে।
বাড়িতে লিভ ইন কন্ডিশনার বানানোর জন্য কী কী প্রয়োজন জেনে নিন-
৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ টা ভিটামিন ই ক্যাপসুল, ৫ টেবিল চামচ গোলাপ জল, ৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ৭ ফোঁটা জেসমিন এসেনশিয়াল অয়েলকে ভাল করে মিশিয়ে নিন। পুরো মিশ্রণটা যেন খুবই ভাল করে মেশানো হয়।
কিন্তু দেখবেন এই মিশ্রণ যাতে বেশি ঘন না হয়। তা হলে চুলের যে কোনও এক জায়গায় আটকে থাকার সম্ভাবনা থাকে। শ্যাম্পু করার পরে চুল ভিজে থাকা অবস্থাতে এই মিশ্রণটি মেখে নিন। চুল শুকোনোর পরেও যদি দেখেন কিছু চুল বসছে না। তা হলে সেখানেও সামান্য এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন।তবে চেষ্টা করবেন একেবারে ড্রাই হেয়ারে চুলে লিভ ইন হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার না করার। তবে শুধু লিভ ইন কন্ডিশনার হিসেবেই নয়। নিয়মিত ঘরোয়া এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে চুলের ডগা ফাটাও, স্প্লিট এন্ডসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।