নদীর ধারে তাঁবুতে রাত্রিবাস, সঙ্গে ঝর্নার শব্দ! সস্তায় কীভাবে ঘুরে আসবেন ঝালং থেকে

  • গরম অনেকটাই কমে গিয়েছে। বর্ষাও বাংলার দরজায় কড়া নাড়ছে।
  • তাই বাঙালির ভ্রমণ পিপাসু মন আবার জেগে উঠেছে।
  • এই বর্ষায় যদি ২ থেকে ৩ দিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে আর আপনি যদি রোমাঞ্চ পছন্দ করেন, তা হলে ঘুরে আসুন ঝালং থেকে। 
     

swaralipi dasgupta | Published : Jun 10, 2019 12:07 PM IST / Updated: Jun 10 2019, 05:40 PM IST

গরম অনেকটাই কমে গিয়েছে। বর্ষাও বাংলার দরজায় কড়া নাড়ছে। তাই বাঙালির ভ্রমণ পিপাসু মন আবার জেগে উঠেছে। এই বর্ষায় যদি ২ থেকে ৩ দিনের জন্য বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে আর আপনি যদি রোমাঞ্চ পছন্দ করেন, তা হলে ঘুরে আসুন ঝালং থেকে। 

শিলিগুড়ি থেকে ৯৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রাম। শিলিগুড়ি থেকে ভুটান যাওয়ার পথেই আসে এই গ্রাম। জলঢাকা নদীর ধারে অবস্থিত এই  অঞ্চলের সৌন্দর্য চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো। এই সরু নদীতে গিয়ে মিশেছে ঝোলুং-এর মতো বেশ কিছু ঝোরা। জলের টলটলে নীল জল দেখে স্বপ্নের জগতে পৌঁছে যাওয়া যায়। নদীর উপরের দোলনা ব্রিজ অ্যাডভেনচার প্রেমীদের জন্য আদর্শ।

যাঁরা ভিড় পছন্দ করেন না, তাঁরা অনায়াসে ঝালং গিয়ে নির্জনতা উপভোগ করতে পারেন। এখানে গাড়ি-হর্নের আওয়াজের কোনও চিহ্ন নেই। সারা দিন ধরেই ঝর্নার জলের শব্দ। বর্ষায় তার সঙ্গে বৃষ্টির আওয়াজ আর ঝিঁঝির শব্দ মিশলে পরিবেশটা আরও রোমাঞ্চকক হয়ে ওঠে এছাড়াও সবুজে ঘেরা পাহাড়ি গ্রামে রঙ বেরঙের কাঠের বাড়িগুলি দেখার মতো। সঙ্গে রয়েছে রাস্তার ধারে সার দেওয়া কমলালেবুর বাগান। বর্ষার সময়ে পুরো চিত্রটাই আরও রঙিন হয়ে ওঠে। 

রাতেও ঝালং-এর সৌন্দর্য দেখার মতো। রাতে জোনাকি যেন সৌন্দর্য আরও নিবিড় করে তোলে। 

আর একটু দূরে, ঝালং-এর কাছেই রয়েছে বিন্দু গ্রাম। এই পাহাড়ি গ্রাম নানা রকমের গাছ দিয়ে সাজানো। গ্রামে একটি বাঁধ রয়েছে, তার উপরে উঠলে ভুটানকে এক ঝলক দেখে নেওয়া যায়। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এখান থেকে হিমালয়ের বরফে ঢাকা পর্বতশৃঙ্গও দেখা যায়। 

কী ভাবে যাবেন- 

১) শিলিগুড়ি থেকে ৯৯ কিলোমিটার দূরে ঝালং। 
২) শিলিগুড়ি থেকে ভুটান যেতেই পড়ে ঝালং
৩)  ঝালং যাওয়ার জন্য নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি রেল স্টেশনে পৌঁছতে হবে। সেথান থেকে গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন। 
৪) শিয়ালদহ থেকে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে করেও  নিউ মাল জংশনে নামতে পারেন। এখান থেকে ঝালং-এর দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার। গাড়ি ভাড়া করে যেতে ২০০০ টাকা মতো  পড়বে। 
৫) আকাশপথে গেলে আগে বাগডোগরা এয়ারপোর্ট পৌঁছতে হবে। 

কোথায় থাকবেন- 

যাঁরা রোমাঞ্চ পছন্দ করেন, তাঁরা অবশ্যই  পশ্চিমঙ্গের বন উন্নয়ন নিগ‌মের তাঁবুতে গিয়ে থাকতে পারেন। নদীর ধারেই এই তাঁবুগুলিতে থাকতে পারেন। এইগুলি আগে থেকে অনলাইনে বুকিং করে তবে যাবেন। তবে এখানে কিছু বেসরকারি হোটেলও রয়েছে, যেমন- জলঢাকা রিসর্ট ভিউ, হোয়াইট হাউস হোম স্টে, রিতিকা হোমস্টে। হোটেলে থাকতে খরচ হবে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা। 

Share this article
click me!