আজকাল বেশি বয়সে মহিলারা গর্ভবতী হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এতে অনেক ঝুঁকি থেকে যায়। ঝুঁকি থাকে মা ও সন্তান উভয়েরই। জেনে নিন, মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স কতটা ভূমিকা পালন করে থাকে। কোন বয়সে প্রসব করা ঝুঁকিপূর্ণ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির দৌলতে আজ ৪০-এও অনেক মহিলা মা হচ্ছেন। নানা রকম শারীরিক জটিলতা (Physical complications) থাকা সত্ত্বেও সন্তান প্রসব করতে সক্ষম করছেন অনেকেই। তবে, প্রজননের সাথে একটি মহিলার বয়স (Age) ভীষণভাবে সম্পর্কযুক্ত। আজকাল বেশি বয়সে মহিলারা গর্ভবতী হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এতে অনেক ঝুঁকি থেকে যায়। ঝুঁকি থাকে মা ও সন্তান উভয়েরই। জেনে নিন, মহিলাদের গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে বয়স কতটা ভূমিকা পালন করে থাকে। কোন বয়সে প্রসব করা ঝুঁকিপূর্ণ।
গবেষণায় জানা গিয়েছে, একজন মহিলা নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিম (Eggs) নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন যেগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ক্ষয় হয়ে যায় এবং কিছু সময়ের পরে সে আর কোনও ডিম উৎপাদন করতে পারে না। ফলে সন্তান জন্ম দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু, পুরুষদের ক্ষেত্রে বহু বছর পর্যন্ত শুক্রানু (sperms) তৈরি হতে পারে। অতএব বোঝা যাচ্ছে যে, সন্তানের জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে মায়ের বয়স কত তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন, কোন বয়সে গর্ভধারণ করলে কী কী সমস্যা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মেয়েদের ২৪ বছর বয়স হল গর্ভধারণের সঠিক উপযুক্ত সময়। এই সময় উৎপাদিত ডিম্বাণুগুলিতে জেনেটিক সমস্যা সাধারণত কম থাকে। গর্ভপাতের সময় সিস্ট, ফাইব্রয়েড ইত্যাদির মতো নানারকম রোগে আক্রান্ত হয়। কিন্তু, ২০-র কোটায় বয়স থাকলে, এই ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। তবে, এই বয়সে অনেক মেয়েই মা হওয়ার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে বুঝে-শুনে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
আজকাল অধিকাংশই কেরিয়ান নিয়ে বিশেষ সচেতন। চাকরির দৌড়ে জয়লাভ করতে গিয়ে ৩০-এর কোটায় বিয়ে করেন অনেকে। সে কারণে, অধিকাংশ মেয়েই ৩০-এর পর মা হচ্ছেন। ডাক্তারি মতে, শারীরিক জটিলতা না থাকলে ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মা হওয়া তেমন ঝুঁকিপূর্ণ না। তবে, ৩৫-এর পর গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যা দেখা যায়। আজকাল অনেকেই থাইরয়েড (thyroid), পিসিওডি (PCOD)-র মতো নানা রকম রোগে আক্রান্ত। তাই গর্ভধারণের আগে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ ৩০-এর পর থেকে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আজকাল ৪০-এর কোটায় অনেকেই মা হচ্ছেন। কিন্তু, ৪০-এ মা হওয়া অপেক্ষাকৃত সমস্যাজনক। এই বয়সে মেয়েদের ডিম্বাণুর সংখ্যা কিছুটা হলেও কমে যায়। তাছাড়া, অনেকেই হাই ব্লাড প্রেশার (High Blood Presser), ডায়াবেটিস (diabetes), থাইরয়েডের (Thyroid) সমস্যায় ভোগেন। এই রোগগুলো গর্ভধারণে সমস্যা তৈরি করে। তাই এই বয়সে গর্ভধারণ থেকে সন্তান জন্মদেওয়ার পুরো সময়টাই বেশ কঠিন। যারা এই বয়সে গর্ভধারণ করেন তাদের ডাক্তার অধিকাংশ সময় বিশ্রামের পরামর্শ দেন। তাই ৪০-এর কোটায় মা হতে গেলে প্রতি মুহূর্তে থাকবে হবে সতর্ক।