ট্রেডমিল থেকে শুরু করে মর্ণিং ওয়াক, বাদ দিচ্ছেন না গ্রীণ টিও। তবু লাভ হচ্ছে না। ওজন সেই একই জবাব দিচ্ছে? তাহলে ছোট্ট একটা টিপস ট্রাই করে দেখতে পারেন। জানেন কি চুমু খেলে রীতিমতো ওজন কমে? শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য চুমুর বিকল্প নেই। অর্থাৎ, নিয়ম করে চুমু খেলে, শরীরে মেটাবলিজম কমানো যায়। পাশপাশি, যত বেশিক্ষণ ধরে চুমু খাওয়া যাবে, তত বেশি ক্যালরি পোড়ানো যাবে। এমনই দাবি গবেষকদের।
৬ই জুলাই ইন্টারন্যাশনাল কিসিং ডে অর্থাৎ বিশ্ব চুম্বন দিবসে এই তথ্য শুধু আপনার জীবনে রোমান্স বাড়াতেই সাহায্য করবে না, কমাবে শরীরের রোগভোগও। তাই এক ঢিলে দুই পাখি মেরে দেখতেই পারেন। এই লকডাউনে সঙ্গীর সঙ্গে ঘরে বসে সময় কাটানোর জন্য চুমুর বিকল্প নেই। আবার তার সঙ্গে উপরি পাওনা ওজন ঝরা।
গবেষণা বলছে দাঁড়িয়ে চুমু খেলে, ক্যালরি আরও দ্রুত কমে যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, চুমু খাওয়ার সময় যত বড় করে নিশ্বাস নেওয়া যাবে, তত বেশি ক্যালরিও কমবে। এজন্য প্রিয়জন হোক কিম্বা নিজের ছোট্ট সন্তান বা অন্য কাউকে। মোট কথা, প্রিয়জনকে কাছে পেলেই চুমু খেয়ে নিন। এতে মন তো ফুরফুরে হবেই, ক্যালরিও কমবে। প্রতিদিন যদি আপনি ১ মিনিট করে চুমু খান, তাহলে প্রায় ৫ ক্যালরি পর্যন্ত ওজন কমতে পারে আপনার। অর্থাৎ, প্রতিদিন যদি আপনি ১০ মিনিট করে চুমু খান, তাহলে ৫ পাউন্ডের মত ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। তাই ব্যাপারটা মোটেও এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়।
গবেষকদের দাবি চুমু খেলে মস্তিষ্কের প্লেজার সেন্টার জেগে ওঠে। অক্সিটোসিন, দোপামিন, সেরোটনিন-এর মতো হরমোন নিঃসৃত হয় যা মন মেজাজ ভাল করতে পারে। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের পরিমাণও কমিয়ে দেয়, ফলে নিজেকে দারুণ ঝরঝরে লাগে। অক্সিটোসিন আবার উদ্বেগ কমাতে পারে এবং মন শান্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও চুমু খেলে হৃদয়ের গতি এমনভাবে বেড়ে যায়, যে শরীরের রক্তনালী বড় হয়ে যায়। এর ফলে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ কমে যায়। মানে চুমু শুধু হৃদয়কে ভাল রাখে তাই নয়, সুস্থও রাখে।
তাই নিজের প্রিয়জনকে দিন সুন্দর চুমু উপহার, বিশ্ব চুম্বন দিবসে নিজেও ভালো থাকুন, প্রাণ ফিরে পাক হৃদয়ের কাছের সুন্দর সম্পর্কগুলোও।