বিশ্ব এইডস দিবস, এই রোগ সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্যগুলি জানুন ও সচেতন হোন

  • আজ সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় এইডস দিবস
  • এই রোগ সম্পর্কে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্যই পালিত হয় এই দিন
  • এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়
  • জেনে রাখুন এই রোগের প্রাথমিক বিষয়গুলি

আজ সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় এইডস দিবস। এই রোগ সম্পর্কে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্যই এই দিন পালন করা হয়। ২০০৭ সালের গণনা অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৩ কোটি ৩২ লক্ষ এইডস আক্রান্ত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে যাদের মধ্যে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ছিল শিশু। এইডস বা এইচআইভি "মানব প্রতিরক্ষা অভাবসৃষ্টিকারী ভাইরাস" নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট একটি রোগলক্ষণসমষ্টি। যা মানুষের দেহে রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বা প্রতিরক্ষা হ্রাস করে। এর ফলে একজন এইডস রোগী খুব সহজেই যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, যা শেষ অবধি মৃত্যুও ঘটাতে পারে।

আরও পড়ুন- এই কারণগুলি দায়ী টাক পড়ার জন্য, আপনারও কী এই সমস্যা রয়েছে

Latest Videos

এইচ.আই.ভি. সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই সর্বদা এইডস হয়না। শুরুতে ক্ষেত্র বিশেষে ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় উপসর্গ দেখা যেতে পারে। এরপর বহুদিন কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। এইচ.আই.ভি. ভাইরাসের আক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেহের প্রতিরক্ষাতন্ত্র বা অনাক্রম্যতন্ত্র দুর্বল হতে থাকে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণ সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এমনকি সংক্রামক ব্যাধি বা টিউমারের শিকারও হতে পারেন, যেগুলি কেবলমাত্র সে সব লোকেরই হয়, যাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করে না। এইচ.আই.ভি. সংক্রমণের এই পর্যায়টিকেই এইডস বলা হয়। এই পর্যায়ে প্রায়শই রোগীর অনিচ্ছাকৃতভাবে ও অত্যধিক পরিমাণে ওজন হ্রাস পায়।

আরও পড়ুন- ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কমিয়ে ফেলুন ওজন, রইল সহজ উপায়

এইচ আই ভি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই কোন লক্ষণ ছাড়া এই রোগ বহন করে। তবে কখনো কখনো এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ পরে কিছু অনির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন জ্বর, গলা ব্যাথা, মাথা ব্যথা, ফুলে ওঠা লসিকা গ্রন্থি ইত্যাদি। এই সব লক্ষণ কোনও রকম চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়, যার কারণে রোগী এই ভাইরাস সম্পর্কে অবগত হয় না। এইচ আই ভি ভাইরাস কোনও রকম লক্ষণ ছাড়াই সর্বোচ্চ ১০ বছর মানুষের শরীরে বাস করতে পারে।

আরও পড়ুন- এই খাবারগুলি কখনোই একসঙ্গে নয়, হতে পারে মারাত্মক বিপদ

এইচ.আই.ভি. ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে, বা তার ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সূঁচ ব্যবহার করলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকী এইচ.আই.ভি. ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের শিশুরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা গর্ভধারণের শেষ দিকে বা প্রসবের সময় হতে পারে। এইচ.আই.ভি. ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কারো সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আসলে দেহজাত অধিকাংশ তরল ক্ষরণে এইচ.আই.ভি. নিষ্কৃত হয়। সরাসরি রক্ত বা যৌন নিঃসরণ শরীরে প্রবেশ না করলে এইচ.আই.ভি. সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব কম। 

Share this article
click me!

Latest Videos

PM Modi Live: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে বিশেষ বার্তা মোদীর, দেখুন সরাসরি
Suvendu Adhikari : স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে বাংলাদেশের হিন্দুদের বিশেষ বার্তা শুভেন্দুর, দেখুন
Suvendu Adhikari Live : স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম জয়ন্তী উদযাপনে শুভেন্দু, দেখুন সরাসরি
Sukanta Majumdar Live: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম জয়ন্তী উদযাপনে সুকান্ত, দেখুন সরাসরি
'ভারত চাইলে ২ মিনিটে ইউনুসকে ফানুস বানিয়ে ছাড়বে', চরম কটাক্ষ করলেন Samik Bhattacharya