কামরাঙ্গা একটি চিরসবুজ ছোট মাঝারি আকৃতির গাছের টক মিষ্টি ফল। এই গাছ ১৫-২৫ ফুট লম্বা হয়। কামরাঙ্গা টক স্বাদযুক্ত বা অনেকাংশে টক মিষ্টি স্বাদের হয়। কোন কোন গাছে একাধিকবার বা সারাবছরই ফল পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন এ ও সি এর ভাল উৎস। সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারিতে মাসের মধ্যে এই ফল পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মরসুমি এই ফলে রয়েছে বহু গুণ, তাই বছরে অন্তত একটি কামরাঙ্গা খাওয়া অবশ্যই উচিৎ।
আরও পড়ুন- ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা-সহ লঞ্চ করছে রেডমি নোট ৮
কামরাঙ্গা পাকার পর পরই খেতে সবচেয়ে ভাল, যখন হলদেটে রঙ ধারণ করে। এর বাদামী কিনারাগুলো কিছুটা শক্ত এবং কষ ভাব যুক্ত। ফল পাকার ঠিক আগেই পাড়া হয় এবং ঘরে রাখলে হলুদ রঙ ধরে। যদিও এতে মিষ্টতা বাড়েনা। বেশি পেকে গেলে এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। পাকা কামরাঙ্গা অনেক সময় রান্না করেও খাওয়া হয়। দক্ষিণ এশিয়াতে আপেল ও চিনি দিয়ে রান্না করার চল আছে। চায়নাতে এই ফল ও মাছ দিয়ে রান্না করা হয়। অস্ট্রেলিয়াতে সবজি হিসেবে রান্না করা হয়, আচার বানানো হয়। জ্যামাইকাতে কামরাঙ্গা শুকিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে। হাওয়াই ও ভারতে কামরাঙ্গার রস দিয়ে শরবত বানানো হয়। এ গাছের ফল থেকে বাকল সবই ঔষধিগুণ সম্পন্ন।
আরও পড়ুন- দূষণের থেকে বাঁচতে চান, তাহলে আজ থেকেই পান করুন এই চা
এর এলজিক এসিড খাদ্য নালি অর্থাৎ অন্ত্রের ক্যান্সার হতে বাধা সৃষ্টি করে।
এর পাতায় ও কচি ফলের রসে ট্যানিন রয়েছে যে কারণে কামরাঙ্গার রস রক্তে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহার হয়। শুষ্ক ফল আমলকির মত জ্বরের পর মুখের স্বাদ ফেরাতে ব্যবহার করা হয়।
শীতল ও টক তাই ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে।
কামরাঙ্গার ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়।
আরও পড়ুন- চলতি মাসেই আটটি পলিসি বন্ধ করতে চলেছে এলআইসি , আপনারটি সেই তালিকায় নেই তো
তবে যাদের কিডনি দুর্বল বা যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের পক্ষে এই ফল মারাত্মক ক্ষতিকর। কিডনির সমস্যা থাকলে কামরাঙ্গার মধ্যে থাকা ক্ষতিকর ক্যারামবক্সিন-এর প্রভাবে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।