প্রতিদিন কাজের চাপে কমে আসছে ঘুমের সময়। অথবা সঠিক সময়ে শুয়েও কিছুতেই ঘুমোতে পারছেন না। ঘুমোতে ঘুমোতে প্রায় সারারাত পেরিয়ে ভোর হয়ে আসছে। এই সমস্যা যদি আপনার প্রায়ই চলতে থাকে তবে আপনার সামনে অপেক্ষা করছে মহা বিপদ। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু কম ঘুমানোর মতোই বেশি ঘুমানোটাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার শৈশবে, কৈশোরে, তারুণ্যে, যৌবনে আর বার্ধক্যে ঘুমের চাহিদাও আলাদা আলাদা। তাই বিপদে পড়ার আগেই সাবধান হয়ে যান। জেনে নিন নিয়মিত কম ঘুমোতে থাকলে হতে পারে এই সমস্যাগুলি।
আরও পড়ুন- শবযাত্রা দর্শণ করলে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, অন্যথায় হতে পারে মহাপাপ
এই বিষয়ে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্যক্তির বয়স , লিঙ্গ, গোত্র, ওজন, আর্থসামাজিক অবস্থা, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় জড়িত। এই সবগুলো বিষয়ের সামঞ্জস্যপূর্ণ হিসেব শেষেই দেখা যায়, সকাল বেলায় যারা ঘুম থেকে ওঠেন, তাদের অকাল মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। আর যাদের এই বিষয়ে প্রচুর অনিয়ম চলে তাদের ঝুঁকি বাড়তেই থাকে। আবার যাদের রাত জাগার বদভ্যাস গড়ে তুলেছেন তাদের ৯০ শতাংশ বিভিন্ন মানসিক ব্যাধির শিকার হন। বেশিরভাগ আবার ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। এছাড়া স্নায়বিক সমস্যা থেকে শুরু করে অন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন- সংসারের লক্ষীলাভ আর শ্রীবৃদ্ধিতে স্থাপন করুন শ্রী যন্ত্রম
রাত জেগে কাজ বা প্রতিদিন কম ঘুমোতে থাকলে হৃদ্পিণ্ডের সমস্যা বহু মাত্রায় বেড়ে যায়। একইসঙ্গে কম ঘুমের ফলে ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে যায় এবং চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল দেখা যায়। ঘুম কম হওযার ফলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। এর কারন জেগে থাকলে খিদে পাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। রাতে কম ঘুম অনেক ক্ষেত্রেই অবসাদ বা হতাশগ্রস্থ করে তোলে। কারণ ইনসোমনিয়ার সঙ্গে অবসাদের সম্পর্ক অতোপ্রতোভাবে জড়িত। রাতে কম ঘুমের ফলে দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক সমস্যাও। এছাড়া যে কাজের চাপের ফলে ঘুমের সময় কমিয়ে ফেলেছেন সেই কাজে মনোসংযোগেরও সমস্যা দেখা দেয় কম ঘুমের ফলে। তাই সব কিছুর উর্দ্ধে নিয়ক করে অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের জন্য রাখুন।