ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনই কোনও না কোনও ঘটনা ঘটেছে। কোন বিশিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যু কিংবা কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তি জগ্নগ্রহণ করেছেন। অথবা ঘটেছে কোনও আবিষ্কার। এমন একাধিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে ২৭ জুলাইয়ের নাম। দেখে নিন এক ঝলকে।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনই কোনও না কোনও ঘটনা ঘটেছে। কোন বিশিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যু কিংবা কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তি জগ্নগ্রহণ করেছেন। অথবা ঘটেছে কোনও আবিষ্কার। এমন একাধিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে ২৭ জুলাইয়ের নাম। দেখে নিন এক ঝলকে।
১৯১৩- কল্পনা দত্ত জন্মগ্রহণ করেছিলনেস ২৭ জুলাই, ১৯১৩ সালে। তিনি ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মী। তিনি কল্পনা জোশী নামেও পরিচিত ছিলেন। কলকাতায় আসার পক তিনি ছাত্রী সংঘ (মহিলা ছাত্র সমিতি)তে যোগ দেন। এটি ছিল আধা বিপ্লবী সংগঠম। এই সংগঠনের বিনা দাস ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সক্রিয় ছিলেন। তিনি সূর্য সেনের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন। তিনি ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম অস্ত্রাহার অভিযান পরিচালনা করেন। ১৯৩১ সালে, সূর্য সেনের নেতৃত্বে তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠি ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি, চট্টগ্রাম শাখা-তে যোগ দেন।
১৯৩৯- ২৭ জুলাই ১৯৩৯ সালে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স ও ভারতের বৃহত্তম সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স, ক্রাউন রিপ্রেজেন্টেটিভস পুলিশ হিসেবে খ্যাতি পায়। শাসন বজায় রাখতে সরকারের সাহায্য করার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিব। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ, জঙ্গিবাদ বা বিদ্রোহের বিরুদ্ধে অভিযান ও বামপন্থী চরমপন্থা মোকাবিলা সহ একাধিক ভূমিকা পালন করে এই সংস্থা।
১৯৯২- আমজাদ খানের মৃত্যু হয় ১৯৭৫ সালের ২৭ জুলাই। তিনি শোলে ছবিতে গব্বর সিং-এর জন্য খ্যাত ছিল। তিনি নিজের কেরিয়ারে ১৩২ টি বেশি ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৫১ সালের চাইল্ড অ্যাক্টর হিসেবে অভিনয় শুরু করেন। তার ছয় বছর পর তিনি ১৭ বছর বয়সে দিল্লি দুর নাহিন (১৯৫৭) ছবি দিতে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৯২ সালে ৫১ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আমজাদ খান।
২০০২- কৃষাণ কান্ত ২০০২ সালে ২৭ জুলাই মৃত্যু বরণ করেন। তিনি ১০তম সহ রাষ্ট্রপতি ছিলেম। ১৯২৭ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত অন্ধ্র প্রদেশের গভর্নর ছিলেন। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ সাল এবং ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার হরিয়ানার প্রতিনিধ ছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত লোকসভায় চণ্ডীগড়ের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০১৫- ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন এপিজে আব্দুল কালাম। ১৯৩১ সালে তামিলনাড়ুতে জন্ম হয় তাঁর। তিনি ছিলেন ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি দেশের এই গুরুদায়িত্ব সামলান। তিনি ভারতের প্রথম দেশীয় স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল বিকাশ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। তিনি ইসরো-র ভেহিকল প্রোগ্রাম, বিশেষ করে PSLV কনফিগারেশনের বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ছিলেন ভারতের মিসাইল ম্যান।
আরও পড়ুন- গতকালের তুলনায় বিপুল পতন সোনার দামে, একধাক্কায় কমে গেল রূপোর দরও
আরও পড়ুন- মেনে চলুন এই পাঁচ নিয়ম, কাজে একাগ্রতা বাড়বে, বজায় থাকবে মানসিক সুস্বাস্থ্য
আরও পড়ুন- সকালে ভুলেও এই পাঁচ কাজ করবেন না, কয়টি বাজে অভ্যেসের কারণে দিন খারাপ কাটবে