করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শিরোনামে, মধ্যপ্রদেশের এই লেডি সিংঘম ভাইরাল নেটদুনিয়ায়

  • দেশ জুড়ে পুলিশ অফিসাররা নিরলসভাবে মহামারি বিরুদ্ধে লড়াই করছেন
  • দিনে প্রায় ১৮ ঘন্টারও বেশি সময় নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন
  • বেশিরভাগ সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরা তাদের দলকে উত্সাহিত করছেন
  • ডিএসপি নেহা পচিসিয়ার একটি নাচের ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে

deblina dey | Published : May 4, 2020 6:55 AM IST

করোনা আবহে দেশ জুড়ে পুলিশ অফিসাররা নিরলসভাবে মহামারি বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। দুঃস্থদের খাদ্য ত্রাণ বিতরণ করা, সামাজিক দূরত্ব কার্যকর করা এবং অভিবাসীদের আশ্রয় প্রদান। এই সমস্ত কাজ করার জন্য তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা ছাড়াই দিনে প্রায় ১৮ ঘন্টারও বেশি সময় নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই কঠিন সময়ে ভারত জুড়ে বেশিরভাগ সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরা তাদের দলকে উত্সাহিত করার জন্য গান গাইছেন এবং নাচ করছেন যাতে তাঁদের অবসাদ দূর হয়। এর আগে আমরা এরকম হৃদয়বিদারক দৃশ্য আর কখনও দেখিনি!

আরও পড়ুন- দিনের আলোয় দেখা মিলল রহস্যময় প্রাণীর, ভিডিও ঘিরে শোরগোল নেট দুনিয়ায়

মধ্য প্রদেশের গুনা কোতয়ালীতে, ডিএসপি নেহা পচিসিয়ার একটি নাচের ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। বর্ডার ছবির বিখ্যাত গান 'সন্দেশে আতে হ্যায়' গানটিতে নেচেছেন ডিএসপি নেহা। শুধু তিনিই নন পুলিশ অফিসারের দলও এই নাচে সামিল হয়েছিল। এই ভাইরাল হওয়া নাচের ভিডিওর বিষয়ে নেহা জানিয়েছেন, "যখন আমরা দিনরাত অনবরত কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। বিরতিহীন দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছি। সেই সময় দলের মনোবল বাড়ানো খুব দরকার। কারণ প্রত্যেকেই পরিবার ছেড়ে একটানা কাজ করে যাচ্ছেন। সকলের পরিবার চিন্তিত, প্রত্যেকের বাড়ি থেকেই ফোন করে বলছে কখন বাড়ি ফিরবে। তাই এই সময় দলকে উৎসাহ দেওয়াটাও খুব জরুরী।" এক নজরে দেখে নিন করোনা লড়াইয়ে নেহা পচিসিয়া ও দলের লড়াই এর কিছু অংশ-

 
Posted by D.s.p Neha Pachisia on Friday, 24 April 2020


ডিএসপি নেহা পচিসিয়ার আরও একটি পরিচিতি আছে। এলাকায় তিনি 'লেডি সিংঘম' নামেই পরিচিত। নেহা জানান, "একদিন এই অনবরত কাজের মধ্যে তিনি তাঁর দলের কাছে জানতে চান কারও কোনও অভিযোগ আছে কি না। সেই সময়েই সকলের সমস্যার কথা শোনা যায়। কারও বাড়িতে মা একা রয়েছে, কারও স্বাস্থ্যের সমস্যা রয়েছে, কারও বাচ্চার সঙ্গে বহুদিন দেখা হয়না। সকলেই পারিবারিক কারণে মন খারাপ। এমন সময় তাঁদের মনোবল বাড়ানোর জন্য আমি সকলকে তাঁদের যে প্রতিভা আছে তা দেখানোর কথা বলি। কিন্তু কেউই তাতে তেমন উৎসাহ পাননি। অবশেষে আমি নিজেই গান গেয়ে নাঁচতে শুরু করি। তখন আমার পুরো দল তাতে যোগ দেয়।"

Share this article
click me!