লকডাউনে নজর রাখুন স্বাস্থ্য থেকে সৌন্দর্যে, প্রতিদিনের পাতে রাখুন পুষ্টিগুণে ঠাসা এই উপাদান

  • শরীরে ল্যাকটোজের সাম্যতা বজায় রাখতে সক্ষম এই দুধ
  • এই দুধ উৎপন্ন হয় সোয়াবিন থেকে
  • সয়া দুধে রয়েছে গরুর দুধের মতোই প্রোটিন উপাদান
  • সয়া দুধ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ তরল

deblina dey | Published : Apr 30, 2020 10:04 AM IST / Updated: Apr 30 2020, 04:23 PM IST

লকডাইনে থমকে গিয়েছে সব কিছু। এই সময় ঘরে থেকেই যত্ন নিতে হবে স্বাস্থ্য ও ত্বকের সমস্যার। এর জন্য বেশি করে পাতে রাখতে হবে পুষ্টিকর খাদ্য। আর এই রকম পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ মানুষ একটিমাত্র বিষয় নিয়েই বেশি চিন্তিত। আর তা হল ফ্যাট।  প্রত্যেকেই রোগা ছিপছিপে চেহার পাওয়ার জন্য বহু নিয়ম মেনে চলেন। তবে জানলে অবাক হবেন এই একটি উপাদানে আপনি সহজেই শরীরের বারতি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন সহজেই। আর তা হল সোয়া দুধ। এই দুধ উৎপন্ন হয় সোয়াবিন থেকে। শুকনো সোয়াবিন জলে ভিজিয়ে রেখে, তা পিষে তৈরি করা হয় সয়া দুধ। পুষ্টিবিদদের মতে, সয়া দুধে রয়েছে গরুর দুধের মতোই প্রোটিন জাতীয় উপাদান। এতে রয়েছে ৩.৫ শতাংশ প্রোটিন, ২ শতাংশ ফ্যাট এবং ২.৯ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট। বিশেষজ্ঞদের মতে, সয়া দুধ পান ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ এবং ফ্যাট কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী। জেনে নেওয়া যাক এই দুধের পুষ্টিগুন সহ উপকারীতা সম্বন্ধে।

আরও পড়ুন- ২ বছর লড়াইয়ের পর হার মানলেন ক্যান্সারের কাছে, চিনে নিন এই ভয়াবহ মারণব্যাধিকে

ত্বকের বহু সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করে সয়া দুধ। সোয়া দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই উপাদান ত্বকের বহু সমস্যায় কাজ দেয়। ডায়েটে এই দুধ থাকেল ব্রণর সমস্যাও কমতে থাকে। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। তাই এই মরশুমে শরীর সুস্থ্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে পারেন সয়া দুধ। যাদের শরীরে ল্যাক্টোজের ঘাটতি রয়েছে, অথবা যারা দুধ বা ডেয়ারি প্রোডাক্ট হজম করতে অক্ষম। তাদের শরীরে ল্যাকটোজের সাম্যতা বজায় রাখতে, পাতে রাখতে পারেন এই দুধ। জানলে অবাক হবেন সয়া দুধে থাকা এলডিএল উপাদান রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাছাড়া এই দুধে থাকা ফ্যাটের পরিমান খুব কম। পাশাপাশি এই দুধে রয়েছে প্রচুর এনার্জি। এই দুধ পান করলে ক্ষুধা নিবারণ হয়। তাই প্রতিদিন ডায়েটে এই দুধ রাখলে অতিরিক্ত ওজন কামতে কার্যকর। 

আরও পড়ুন- বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইরফান, কতটা আগ্রাসী এই নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার বা ক্যানসার নেট

বর্তমানে বহু মানুষ উচ্চরক্তচাপের শিকার। সয়াদুধ উচ্চরক্তচাপের সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। সয়া দুধে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েড রক্তচাপের সমস্যা হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাই সয়া দুধ উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থাকলে পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সয়া দুধ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ তরল। এই দুধে ফ্যাট কম থাকার ফলে এই দুধ রক্তে শর্করা ও কোলেস্টরল-এর ভারসাম্য বজায় রাখে। এই দুধ টাইপ-২ ডায়বেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। এক কাপ সয়া দুধে রয়েছে ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ডি যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।  এছাড়াও সয়া দুধে রয়েছে আইসোফ্লেভন নামক এক ধরণের উপাদান যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মনোপজ শুরু হওয়া নারীদের জন্য এই দুধ অত্যন্ত উপকারী। পাশাপাশি এই দুধে রয়েছে প্রচুর এনার্জি। এই দুধ পান করলে ক্ষুধা নিবারণ হয়। তাই প্রতিদিন ডায়েটে এই দুধ রাখলে অতিরিক্ত ওজন কামতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। 

Share this article
click me!