যারা ওজন কমাতে চান তাদের বেশিরভাগই দ্রুত এবং সহজে ওজন কমিয়ে স্লিম হতে চান। আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হন, তাহলে অবশ্যই এই ৬ টি পদ্ধতি অনুসরণ করুন। আপনি যেমনটি আশা করেন, খুব দ্রুত ওজন কমতে শুরু করবে।
সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। প্রোটিন সমৃদ্ধ সকালের নাস্তা খাওয়া ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিপাক (Metabolism) বৃদ্ধি করে। ডিম, দই, ডাল, বাদাম এবং বীজ, সয়া পণ্য প্রোটিনের ভালো উৎস। আপনার সকালের নাস্তায় এগুলির যেকোনো একটি যোগ করুন। বেশি চিনিযুক্ত খাবার সকালে এড়িয়ে চলা ভালো। বিশেষ করে, প্রক্রিয়াজাত শস্য এবং বেশি চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।
26
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার:
ফাইবার হজমে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এটি ওজন কমানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফল (আপেল, বেরি), শাকসবজি (সবুজ শাকসবজি, ব্রোকলি), (ওটস, বাদামি চাল), ডাল এবং বীজ ফাইবার সমৃদ্ধ। আপনার দৈনন্দিন খাবারে এগুলো নিয়মিত যোগ করুন।
36
কার্বোহাইড্রেট কম করুন:
অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ ওজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে। বিশেষ করে পরিশোধিত সাদা ভাত, সাদা রুটি এবং চিনিযুক্ত খাবার কমানো ভালো। (ওটস, বাদামি চাল), শাকসবজি এবং ফলে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। এগুলো পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।
ওজন কমাতে পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের কার্যকলাপ সচল রাখে। দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা ভালো। আপনার শারীরিক কার্যকলাপ এবং আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে এটি পরিবর্তিত হতে পারে। সোডা, জুসের মতো চিনিযুক্ত পানীয়তে অনেক ক্যালোরি থাকে। এগুলো এড়িয়ে চলা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
56
ব্যায়াম করতে ভুলবেন না:
খাবার নিয়ন্ত্রণের সাথে ব্যায়াম করা ওজন কমানোর গতি বাড়ায় এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার ব্যায়াম বা ৭৫ মিনিট তীব্র ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনার যদি দীর্ঘ সময় ব্যায়াম করার সময় না থাকে, তাহলে দিনभर ছোট ছোট ব্যায়াম করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা, দ্রুত হাঁটা ইত্যাদি।
66
পর্যাপ্ত ঘুম:
পর্যাপ্ত ঘুম ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘুমের অভাব ক্ষুধার হরমোন (Ghrelin) বৃদ্ধি এবং পূর্ণতার হরমোন (Leptin) হ্রাস করতে পারে, যার ফলে আপনি বেশি খেতে পারেন। বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। ঘুমানোর আগে স্ক্রিন (Screens) এড়িয়ে চলা এবং শান্ত ঘুমের পরিবেশ তৈরি করা ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক।